বিদেশী ফলের চারা নিজে কাটিং করে সাধারণ কৃষকের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছেন কৃষক মোহামদ

বিকুল চক্রবর্তী॥ শ্রীমঙ্গলের কালাছড়া বনের একজন বন ভিলেজার বিদেশী ও দূলর্ভ ফলের চারা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে তিনি নিজেই সংগৃহিত চারা থেকে করছেন কাটিং। আর কাটিং এর পর দশ হাজার টাকা মুল্যের চারা তিনি দিতে পারছেন ৩ থেকে ৪শত টাকায়।
মৌলভীরবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কালাছড়া বন বিট পাশবর্তী সরইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী। পেশা বন ভিলেইজার। গাছপালা পাহাড়া দিতে দিতে তার মনের মধ্যে গাছপালার প্রতি জন্মে এক রনের ভালোবাসা। এ ভালোলাগা থেকে তিনি নিজের বাড়িতে রোপন করতে থাকেন বিভিন্ন রনের বিদেশী ফলের চারা। কিন্তু এ চারা গুলো সংগ্রহ করতে তাকে অনেক কাঠখর পোড়াতে হয়। প্রয়োজন হয় প্রচুর টাকা।
এক সময় তার চিন্তা আসে নিজেই চারা উৎপাদন করবেন। এবং দুই বছরের মাথায় তার বাড়িতে রোপিত প্রায় ৫০ প্রকারের উন্নত জাতের ফলের চারার মধ্যে ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ জাতের চারা তিনি নিজে উৎপাদন করতে পেরেছেন।
তবে নিজের পর্যাপ্ত জমি না থাকায় অল্প জায়গায়ই তাকে এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।
প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে সৌখিন কৃষকরা আসছেন তার বাড়িতে। অনেকেই কিনেও নিচ্ছেন বিদেশী ফলের চারা।
আর বন বিভাগের এই বিট কর্মকর্তা জানালেন বন পাহাড়ায়ও সে দায়িত্বশীল।
অল্প জায়গায় সফল কৃষক মোহাম্মদ আলী হতে পারেন সরকারের একটি বাড়ি একটি খামারের উদাহরণ।
তবে এ উৎসাহি কৃষককে জমির ব্যবস্থা করে দিলে তিনি আরো অনেক দুর এগিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে করেন গ্রামের মানুষ।
মন্তব্য করুন