বড়লেখায় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিবসহ ১৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা : গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপির নেতাকর্মী
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনের ঐক্যফ্রন্ট (বিএনপি) মনোনিত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ভাটা পড়েছে। নেই প্রাণচাঞ্চল্য ধানের শীষের কোন নির্বাচনী অফিসে। বুধ ও বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির
সদস্য সচিবসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট শতাধিক নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। ইতিপূর্বে উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ১২ নেতাকর্মীকে এসব মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়ায় ২৩ দলিয় জোটে এখন চলছে চরম গ্রেফতার আতঙ্ক।
থানা পুলিশ ও আদালত সুত্রে জানা গেছে, ১৯ ডিসেম্বর উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল আহমদ কাঠালতলী বাজারে নৌকার প্রচার গাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আব্দুল হাফিজ, দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, বিএনপির নেতা সাহাব উদ্দিনসহ ৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও আরো ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা করেন। এ মামলার এজাহার নামীয় ৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে উপজেলার রতুলি বাজারে আ’লীগ দলিয় সংসদ সদস্য প্রার্থী হুইপ শাহাব উদ্দিনের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে বুধবার রাতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে থানায় মামলা করেন দক্ষিণভাগ ইউনিয়ন আ’লীগের প্রচার সম্পাদক ফয়জুর রহমান। রাতেই এ মামলায় পুলিশ উপজেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রহিম বক্ত মুসাকে গ্রেফতার করে। এ মামলায় ঐক্যফ্রন্টের উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ফয়সল আহমদ, বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও পৌর বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল হক, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম জুয়েল,হারুন মিয়া, ফখর উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন, মকবুল হোসেন সেবুল, তাজ উদ্দিন শেখ, গৌছ উদ্দিন, আফাং মিয়া, ঐক্যফ্রন্ট নেতা নুরুস সামাদ সায়রুল, ছিদ্দিকুর রহমান, আব্দুল মুকিত তুলাই, আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, যুবদল নেতা আমিনুল ইসলাম, দুলাল আহমদ প্রমূখ ৪১ নেতামকর্মীর নাম উল্লেখ ও আরো ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। একই রাতে উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের আ’লীগ নেতা নুর ইসলাম বর্নি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সারওয়ার আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুহেল আহমদ, রুয়েল আহমদ প্রমূখ। ১২ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৪০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামী কওে স্থানীয় আ’লীগের নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলায় হেলাল উদ্দিন ও ইসলাম উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু অভিযোগ করেন একের পর এক তার দলের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর সাজানো মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। গত ২ দিনের ৩ মামলায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করায় তিনি গণসংযোগে সাথে নেয়ার মত নেতাকর্মী পাচ্ছেন না। গ্রেফতার আতংকে তারা এখন আত্মগোপনে। শেষ পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে ঐক্যফ্রন্টের এজেন্ট দেয়ার মত কর্মী না পাওয়ার আশংকা করছেন তিনি।
মন্তব্য করুন