বড়লেখায় সরকারি হেলিপ্যাডের জায়গায় নির্মিত হচ্ছে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর, মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার॥ বড়লেখা উপজেলায় হেলিপ্যাডের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারের আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর। হেলিপ্যাডের সীমানা নির্ধারণ, আশ্রায়ণ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তা চিহ্নিত করে এবং প্রকৃত ভূমিহীনদের নামে ঘর বরাদ্ধের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক আহমদসহ এলাকার ২০ জন বাসিন্দা।
গত ২০ ডিসেম্বর এই লিখিত অভিযোগ করা হয়। যার অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, বড়লেখার ইউএনও ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবরে অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় এবং উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল গ্রামে বাসিন্দারা জানান, সুজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম সরকারি হেলিপ্যাডের জায়গা চিহ্নিত না করে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবকালে এলাকার মানুষ সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা হেলিপ্যাডের সীমানা নির্ধারণের দাবি জানান। কিন্তু চেয়ারম্যান সেই দাবির প্রতি কোন গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করেন। ইতোমধ্যে আশ্রায়ন প্রকল্পের গৃহনির্মাণ কাজ ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে।
হেলিপ্যাডের সীমানা নির্ধারণ, আশ্রায়ণ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তা চিহ্নিত করে এবং প্রকৃত ভূমিহীনদের নামে ঘর বরাদ্ধের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক আহমদ জানান, চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে স্থানীয় জনসাধারণের স্বার্থে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখান। মুলত চেয়ারম্যান প্রশাসনকে ভুল আইডিয়া দিয়ে নিজস্ব লোকবসানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে আসপাশে বসবাসকারী ভূমি ও গৃহহীনদের বঞ্চিত করছেন।
তাছাড়া এলাকাবাসীর যাতায়াতের রাস্তাটিও ছোট করে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছেন। এব্যাপারে সুজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে থাকায় অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, লিখিত অভিযোগ আমার চোখে পড়েনি। তবে খোঁজ নিয়ে আমি ব্যবস্থা নেবো।
মন্তব্য করুন