মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার॥ স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব মো: মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ সকালে কলেজ মাঠে বার্ষিক ওই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও শিল্পপতি সাবেক বৃটিশ কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব এম এ রহিম সিআইপির ছোট ভাই কলেজের আজীবন দাতা সদস্য শিক্ষানুরাগী মো: মুজিবুর রহমান মুজিব এর সভাপতিত্বে ও কলেজের প্রভাষক নিরুপম দাশ এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কলেজ গভণিংবডির অভিভাবক সদস্য মো: হুমায়ুন কবির,নাজিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: আবু সাঈদ শুকুর,প্রভাষক অর্ধেন্দু বিকাশ দে প্রমুখ।
প্রধান অতিথি নেছার আহমদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ এম এ রহিম (সি.আ.পি) তাঁর ছোট ভাই মুজিবুর রহমান মুজিব ও তাদের পরিবারে সদস্যদের অভিবাদন জানিয়ে বলেন, পিছিয়ে পড়া এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাঁরা বাবা ও মায়ের নামে কলেজ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার আলো জালিয়েছেন।
তিনি বলেন বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতে নতুন বই পাচ্ছে। যুগপযোগি নতুন কারিকুলাম করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষকদের নানা সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ শিক্ষার্থীদেরও নানাভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। নেছার আহমদ বলেন আমরা এখন আর ভিক্ষুকের জাতি নয়। আমরা এখন সাহায্য করি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন রক্ত দিয়ে অর্জিত এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজেকে দক্ষ যোগ্য করে গড়ে তুলে আগাতে হবে।
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমালোচনা করে বলেন, তারেক জিয়া তার মাকে আর মানেন না কারণ তিনি এখন বৃদ্ধ। ভাঙা সুটকেস থেকে জিয়া পরিবার আজ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। তারেক জিয়া লন্ডনে থাকেন তিনি টাকা পয়সা পান কি করে। তিনিতো ওখানে কোনো চাকুরি করেন না।
তিনি উন্নয়নের নানা উদাহরণ দিয়ে বলেন বাড়িতে মা বাবাকে গল্পের ছলে বলতে পারো কার শাসন আমল ভালো। যদি এই আমল ভালো হয় তবে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার ঠিকে রাখতে ধানের ছড়া বাদ দিয়ে নৌকায় ভোট দিতে হবে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে নিতে হবে। তিনি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি ভালো ফলাফল,বার্ষিক সাহিত্য প্রকাশনা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সার্বিক কর্মকান্ডে জেলার শিক্ষানুরাগী ও সচেতন মহলের দৃষ্ঠিকাড়তে সক্ষম হয়েছে। অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক,গর্ভণিংবডির সদস্য, অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন