মা/মলার সাজা ভোগ করে এসে দুই নারীকে কো/পালেন, বৃদ্ধাকে দিলেন কি/ল ঘু/ষি

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : একজনের গলায় ধারালো দায়ের কোপে হওয়া ক্ষত জায়গায় শেলাই করা, আরেকজনের হাতে দায়ের কোপ লেগে রক্তাক্ত হয়ে ব্যান্ডেজ করা। আরেকজন বৃদ্ধ নারী বুঝতেই পারছেন না কিভাবে তাকে ঠেলে মাটিতে ফেলে কিল-ঘুষি মারা হয়েছে। আদালতে করা মামলায় সাজা ভোগ করে আসার পর বাদীর পরিবারের উপরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করার পর এখন এভাবেই আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিন নারী।
শুক্রবার ২০জুন সকালে শ্রীমঙ্গলে গন্ধব্যপুর গ্রামে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে। গ্রামের শ্রীপদ বৈদ্যের হামলায় বাদী পংকজ বৈদ্যের স্ত্রী, শালী ও শাশুড়ী আহত হয়ে চিকিৎসার টাকার জোগাড় করতেও এখন হিমসিম খাচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলার গন্ধব্যপুর এলাকায় গিয়ে আহত তিন নারী ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১১ জুন বুধবার রাতে এলাকার শ্রীপদ বৈদ্য হঠাৎ করে অতকির্ত হামলা চালিয়ে তিন জনকে আহত করে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
জানা যায়, এর আগে গ্রামের পংকজ বৈদ্য বাদী হয়ে শ্রীপদ বৈদ্যের নামে একটি ২০১৮ সালে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০২৪ সালে সেই মামলায় সাজা সাজা ভোগ করে জেল থেকে বেড়িয়ে এসেই বাদীর পরিবারের ক্ষতি করতে উৎ পেতে ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন রাতে শ্রীপদ বৈদ্য প্রথমে বাদীর পরিবারকে গালাগালি ও পরে অতকির্ত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেন তিনি।
পংকজ বৈদ্য জানান, শিশুদের ব্যাট মিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে এর আগেও সে আমাদের পরিবারের লোকজনের উপরে হামলা করেছে। আমি শ্রীপদ এর নামে মামলা করেছিলাম। সেই মামলায় সাজা ভোগ করে আসার পর থেকেই সে আমাকে ও আমার পরিবারকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। ঘটনার দিন আমার শালীকে সে মার্ডার করতে চেয়েছিলো। আমরা এমনিতেই গরিব মানুষ। তিনজনের চিকিৎসা চালানো কঠিন হয়ে গেছে। আমরা চাই এই ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হোক।
এদিকে ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত শ্রীপদ বৈদ্য। তার বাড়িতে গিয়ে তালাবন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার উপপরিদর্শক (এস আই) তপন দাশ জানান, এই ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন