মৌলভীবাজারে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব
স্টাফ রিপোর্টার॥ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে শারদীয় দুর্গোৎসব এর পাঁচ দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান দেবীর বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
ঢাক-শঙ্খধ্বনি, মন্ত্রপাঠ, উলুধ্বনি আর অঞ্জলি চলে। ধান-দূর্বা, মিষ্টি, আবির দিয়ে ভক্তরা দেবীকে বিদায় জানান। এসময় নারীরা সিঁদুর খেলার মেতে উঠেন। অশ্রুসজল চোখে মা-দুর্গাকে বিদায় দেন ভক্তরা। করোনা সতর্কতায় এবারের বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ছিলো নানা বিধিনিষেধ। জেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে ভোগ প্রদান এবং দর্পণ বিসর্জন ও সীমিত পরিসরে হয় সিঁদুর খেলা আর মিষ্টি বিতরণ।
মৌলভীবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেলা ৩টায় মনু নদীর চাঁদনীঘাট এলাকায় পূজা মন্ডপগুলোর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
এ বছর জেলায় ১০০৫টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশনা কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়ে দেয়।
মৌলভীবাজারে দেবীদুর্গার বিসর্জনের সময় পুরোটা সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পংকজ রায় মুন্না, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অর্থ সম্পাদক চিন্ময় ধর, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল কান্তি দেব, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমেশ দাশ যীশু, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মনবীর রায় মঞ্জু।
সবাই একে অপরের মঙ্গল কামনা করে দূর্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন।
মন্তব্য করুন