লকডাউনে মৌলভীবাজারে ৫ জুলাই পর্যন্ত ৭৪৪ মামলায় ৪ লক্ষ ২১ হাজার টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার॥ অতি উৎসাহী হয়ে লকডাউন দেখতে রাস্তায় বের হলে। কিংবা অকারণে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই আটক কিংবা অর্থদন্ড দিতে হচ্ছে। মৌলভীবাজারের জেলা শহর ও উপজেলা শহরে প্রশাসনের এমন কঠোর নজরদারিতে পালিত হচ্ছে চলমান লকডাউন। জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায় জেলার ৭টি উপজেলাতে ২৩ টি টিম লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসানের নেতৃত্বে ও সার্বিক দিকনির্দেশনায় এক্রিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। তাদের সার্বিক সহায়তায় মাঠে রয়েছে আনসার,পুলিশ,র্যাব,বিজিবি ও সেনাবাহিনী। জানা যায় পহেলা জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে জেলার ৭টি উপজেলায় সোমবার ৫ জুলাই দুপুর পর্যন্ত ৭৪৪ টি মামলায় ৪ লক্ষ ২১ হাজার ৩ শ ৪০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে। ২১১ জনকে সাময়িক আটক করা হয়। সাময়িক আটককৃতদের মুচলেকা নিয়ে পরবর্তীতে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার লকডাউনের প্রথম দিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে আইন অমান্য করে মার্কেট-শপিংমল খোলা রাখাসহ অন্যান্য অপরাধে ১৬৭ জনকে ৮৯.৯০০ টাকা অর্থদন্ড ও আদায় করা হয়। এবং ৭ জনকে সাময়িক আটক করা হয়।
দ্বিতীয় দিন (শুক্রবার) ১৭৭ ব্যক্তিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৯০ টাকা জরিমানা এবং ৯০ জনকে সাময়িকভাবে আটক করা হয়।
৩য় দিন (শনিবার) ১৮২ মামলায় ৯২ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় ৫১ জনকে সাময়িক আটক করা হয়।
৪র্থ দিন ( রবিবার) ১৬৫ মামলায় ৭০.২৫০ টাকা জরিমান ও ৩৫ জনকে সাময়িক আটক করা হয়।
৫ম দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫৩ মামলা,৩৭.৭০০ টাকা জরিমানা, আটক ২৮ জন।
জেলা ও উপজেলা শহরের মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। রোগিবাহী বা জরুরি কাজে নিয়োজিত পরিবহন ছাড়া সড়কে যেকোনো পরিবহন দেখলেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পায়া হেঁটে চলা লোকদের সন্দেহ হলে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেসা করা হচ্ছে। সন্তোষজন কারণ ও প্রমাণ দেখাতে না পারলে নেওয়া হচ্ছে আইনানুজ্ঞগ প্রদক্ষেপ। শহরগুলোর দোকানপাট, মার্কেট ও শপিং মল বন্ধ রয়েছে। খোলা রয়েছে ফার্মেসিসহ নিত্যপণ্যের দোকান। জেলা শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে কাউন্সিলরদের নিয়ে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন পৌর মেয়র ফজলুর রহমান। মাঠে তৎপর রয়েছেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।
মন্তব্য করুন