শ্রীমঙ্গলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪০, যৌথবাহিনীর হাতে বিএনপি নেতা সহ গ্রেপ্তার ১৪

স্টাফ রিপোর্টার : ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার পার্কিংকে কেন্দ্রে করে কথা কাটাকাটির জের ধরে সোমবার ৩১ মার্চ মধ্যরাত (ঈদের চাঁদ রাতে) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মহসিন মিয়া মধুর সমর্থকদের সাথে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আনার মিয়ার সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সুত্রে জানায়, টমটম ভাঙচুর ও চালকদের উপর হামলার খবর চালকদের গ্রামে পৌঁছালে বিষয়টি মসজিদের মাইকে ঘোষনা দেওয়া হয়। পরে পশ্চিমভাড়াউড়া গ্রামের কয়েকশ মানুষ লাটিসোঁটা নিয়ে শহরে প্রবেশ করে। এসময় তারা সাবেক মেয়র মহসিন মিয়ার বাড়িতে হামলার জন্য যেতে চাইলে শহরের চৌমুহনাতে পুলিশ অবস্থান নিয়ে ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে। অপর দিকে মেয়রের লোকজনও শহরের স্টেশন রোড থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ সরে গেলে উভয় পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষে ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এক পর্যায়ে রাত দুইটার দিকে দুটি পক্ষ মুখামোখি সংঘর্ষে লিপ্ত হলে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সেনাবাহিনী বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র মহসিন মিয়ার বাসায় তল্লাসী চালিয়ে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারসহ ১৮ জনকে আটক করে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, শহরের গদারবাজার এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার পাকিংকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এসময় উভয় পক্ষের ৪০ জন আহত হন। ভাংচুর হয় বেশ কয়েকটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, একটি প্রাইভেট কার। লুট-পাট হয় ও ভাংচুর করা হয় কয়েকটি দোকান।
মন্তব্য করুন