শ্রীমঙ্গলে শ্মশানের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মান এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে

June 30, 2021,

বিকুল চক্রবর্তী॥ শ্রীমঙ্গল উত্তর উত্তরশূর সার্বজনীন শ্মশানের উপর দিয়ে রাতের আধারে অপ্রয়োজনীয় রাস্তা তৈরীকরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে একটি চক্র এমনই কর্মকান্ডের প্রতিবাদে পশ্চিম শ্রীমঙ্গল,উত্তর উত্তরশূর, দক্ষিন উত্তরশূর ও আমানতপুর গ্রামের হিন্দু মুসলিম ৫শতাধিক মানুষ বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে এসে তারা এর প্রতিবাদ জানায়। এ সময় তারা অপদখলীয় রাস্তার মাটি সমান করে পুনরায় শ্মশানে মিলেয়ে দেন।
স্থানীয় হিন্দু মুসিলিম বাসিন্দারা জানান, তারা ছোট বেলা থেকে দেখে আসছেন উত্তর উত্তরশুর ও দক্ষিন উত্তরশুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা এখানে দাহ ও সমাধি দিয়ে আসছেন। কয়েক বছর আগে এর পাশে হাইল হাওরের উপর বেশ কিছু বসতি স্থাপিত হয়। এদের জন্য ১৬ফুট চওরা একটি সরকারী রাস্তাও আছে। পাশে একটি গোপাটও রয়েছে। ওই রাস্তা রেখেও এর পাশে তারা শ্মশানের উপর দিয়ে সোমবার রাতে আরেকটি রাস্তা করে নেয়। এ ছাড়াও ওই গ্রামের কিছু লোক কিছুদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ মারা গেলে এখানে দাহকার্য করতে বাঁধা দিচ্ছে। তারা বলেন, এ এলাকায় শত শত বছর ধরে হিন্দু মুসলীম সম্মিলিতভাবে বসবাস করছে। এ সময় তারা শ্মশানের উপর রাস্তা নির্মানকে সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক কর্মকান্ড দাবী করে প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কশন করেন।
এ সময় উত্তর উত্তরশূর গ্রামের দিলীপ সরকার জানান, ৫মাস আগে তার মা মারা গেলে স্থানীয় ছায়েদি মিয়াসহ কয়েকজন এখানে তার মাকে দাহ করতে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে প্রায় ১০ ঘন্টা পর ৩নং শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ,সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে দাহকার্য সম্পন্ন করেন।
এ সময় একই গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা গোপাল সরকারের ছেলে রিপন সরকার জানান, ৬/৭ বছর আগে ওই জায়গায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার বাবার সৎকার হয়। দুস্কৃতিকারীরা তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা গোপাল সরকারসহ চৌদ্দপুরুষের শ্মশানের উপর দিয়ে রাস্তা করে নেয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা এ সময় কুমদ রঞ্জন দেব ও নকুল সরকার জানান, একটি ভূমিখেকো চক্র এখানে সক্রিয়। তারা জানান, এখানে লক্ষী দেবী ও দূগাদেবী ট্রাস্টের নামে ৫২ হাল ( প্রায় ৬শত বিঘা ) জমি রয়েছে যা অনেকেই বে-আইনী ভাবে ভোগদখল করছেন। তারা এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশিনার (ভূমি) নেছার আহমদ জানান, এটি গোপাট শ্রেণীর জমি। এর একটা অংশ হিন্দু ধর্মালম্বীরা শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করেন। এটি নিয়ে যেহেতু একটি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে কাছাকাছি সময়ে তারা সরজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিবেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com