হাকলুকি হাওরে মাছ ধরা নিয়ে স্থানীয় জেলেদের সংবাদ সম্মেলন

জুড়ী প্রতিনিধি : জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএও) ও মৎস্য অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হাকলুকি হাওর পাড়ের জেলেরা।
রোববার ১০ আগস্ট বিকেলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, উত্তর নয়াগ্রাম জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন, জেলে ফারুক মিয়া, ইউনুছ রেজা মো: হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ।
তারা জানান, আমরা হাকালুকি হাওর পাড়ের সাধারণ জেলে। জাল দড়ির সাথে আমাদের সম্পর্ক। বর্ষাকালে আমরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। মৎস্য অফিসারের কড়াকড়ি আরোপের কারণে গত তিন মাস আমরা মাছ ধরতে পারিনি, যার কারণে পরিবার নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটছিল আমাদের। এমন অবস্থায় বাছিরপুর গ্রামের বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন, আমাদের সাথে যোগাযোগ করে জানান, আমরা যদি প্রতিদিন ১২ হাজার টাকা করে চাঁদা দেই তাহলে আমরা নির্ভয়ে মাছ ধরতে পারবো মৎস্য অফিসার আর বাধা দিবেনা। তার কথায় আশ্বস্ত হয়ে সরল বিশ্বাসে সকল জেলেরা প্রতিদিন ১২ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে থাকি। আমরা হেলাল উদ্দিনকে দুই ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা প্রদান করি। সম্প্রতি মৎস্য কর্মকতা আমাদেরকে উপজেলায় ডেকে নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। আমরা মৎস্য অফিসারকে জানাই হেলাল উদ্দিন আমাদের কাছ থেকে ইউএনও এবং মৎস্য কর্মকর্তার নামে প্রতিদিন ১২ হাজার টাকা করে চাঁদা নিচ্ছেন। এখন মৎস্য অফিসার চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি জানেন না বলে আমাদেরকে জানান।
তিনি কাউকে চাঁদা না দেওয়ার জন্য আমাদেরকে হুঁশিয়ারি দেন। পরে হঠাৎ শুনি মামলা হয়ে গেছে। মামলায় আমাদের জেলে খান জামাল এর নাম রয়েছে। খান জামাল আমাদের মত একজন সাধারন জেলে। আমাদের সাথে খান জামালও হেলাল উদ্দিনকে চাঁদা দিয়েছেন। খান জামালকে আসামি করায় তার পরিবার অনেক কষ্টের দিন যাপন করছেন। খান জামাল ঘটনার সাথে জড়িত না। খান জামালকে আসামি করায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করারও দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন