আদর্শ নাগরিক গঠনে শিক্ষার্থীদের আল্লাহভীরু ও সৎ হওয়ার অনুপ্রেরণা

বশির আহমদ : শিক্ষিত সমাজের প্রধান দায়িত্ব হলো নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করা। তাদের সামনে আলোকিত ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা দেওয়া, নতুন স্বপ্ন দেখানো এবং নৈতিকভাবে দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তোলাই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। একজন আদর্শ নাগরিক কেবল জ্ঞানী হলেই যথেষ্ট নয়; তাকে হতে হবে আল্লাহভীরু, সৎ ও দক্ষ।
আল্লাহভীরুতা (তাকওয়া) :
প্রকৃত শিক্ষার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো আল্লাহভীরুতা। অন্তরে আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসা জাগ্রত না থাকলে শিক্ষা কখনো ফলপ্রসূ হয় না। তাকওয়াই মানুষকে পাপ থেকে দূরে রাখে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় করে এবং সমাজে ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় শক্তি যোগায়।
সততা :
সততা ছাড়া কোনো মানুষ পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না। সত্যবাদিতা, আমানতদারিতা ও ন্যায়পরায়ণতা মানবজীবনের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। বর্তমান পৃথিবীতে সৎ মানুষের বড় অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর উচিত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা ও আমানতদারিতা চর্চা করা।
দক্ষ নাগরিকত্ব :
সময়ের চাহিদা পূরণে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য। কোরআন-সুন্নাহর জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি প্রযুক্তি, ভাষা ও আধুনিক বিদ্যায় পারদর্শিতা অর্জন করতে পারলেই শিক্ষার্থীরা ইসলামের সৌন্দর্য বিশ্বে তুলে ধরতে পারবে। একইসাথে তারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
পরিবার ও সমাজের দায়িত্ব :
শিক্ষার্থীর নৈতিক গঠনে শিক্ষক, অভিভাবক ও সমাজের দায়িত্ব অপরিসীম। শিক্ষককে হতে হবে আদর্শবান, অভিভাবককে সন্তানদের ইবাদতে অভ্যস্ত করতে হবে। ভালো কাজের প্রশংসা ও পুরস্কার শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবে, আর শৃঙ্খলাবদ্ধ তদারকি তাদের অন্যায় থেকে দূরে রাখবে।
জীবন গঠনে প্রয়োজন তিন গুণ :
শিক্ষার্থীকে কর্মজীবন বা উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের আগে তিনটি গুণ অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি
আল্লাহভীরুতা
সততা
নাগরিক দক্ষতা
এই তিনটি গুণই শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের সমাজ ও জাতির নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য করে তুলবে।
পরিশেষে দোয়া করি, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দ্বীনের আলো ছড়িয়ে পড়ুক, এবং শিক্ষার্থীরা আল্লাহভীরু, সৎ ও দক্ষ নাগরিক হয়ে দেশ ও উম্মাহকে আলোকিত করুক।
লেখক, বশির আহমদ, মৌলভীবাজার সদর।
মন্তব্য করুন