এ দেশে শেখ হাসিনা রাম রাজত্ব করেছে, আল্লাহ খোদাও মানেনি- নাসের রহমান

October 4, 2025,

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, ২০০১ সালের পরে আর দেশে কোনো ইলেকশন হয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে মাত্র তিন ঘণ্টায় আমি ১ লাখ ৫ হাজার ভোট পেয়েছিলাম। কিন্তু তখনকার ওসি সোহেল ও এসপি প্রশাসনের সহযোগিতায় কেন্দ্র দখল করে সব ভোট লুটিয়ে নেয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই সময় মৌলভীবাজারের ওসি সোহেল নির্বাচনের তিন দিন পর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মিছবাহুর রহমানকে গিয়ে বলে-যদি আমরা ১১টার সময় নামতাম না, তাহলে আপনার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যেত। এমন নিকৃষ্ট ওসি মৌলভীবাজারের ইতিহাসে আর ছিল না।

তিনি আরও বলেন, সকাল ১০টায় তারা এসপি-ওসিকে বল যদি ১১টার মধ্যে কেন্দ্র দখল না করি, তাহলে নাসের রহমানকে ঠেকানো যাবে না। মুসলমান-হিন্দু সবাই ধানের শীষে ভোট দিচ্ছিল। পরে প্রশাসন তাদের যা খুশি করতে বলে দেয়, আর তখনই জাল ভোট শুরু হয়।

২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, কেউ কি বিশ্বাস করবে সাইফুর রহমানকে মহসিন আলী ফেল করাতে পারে? গোয়েন্দা সংস্থা ধানের শীষের ভোট নৌকায় দিয়ে আওয়ামী লীগকে জিতিয়েছে।

তিনি দাবি করেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন— যারা ওয়ান ইলেভেন ঘটিয়েছে, কাউকে মাপ দেব না। আর হাসিনা বলেছিল— আমি সব মাফ করে দেবো। তাই মঈন উদ্দিন-মাসুদ উদ্দিনসহ কাউকে স্পর্শ করেনি। বিদেশে পাঠিয়েছে চুক্তি অনুযায়ী।

তিনি বলেন, সাড়ে পনেরো বছর এদেশে হাসিনা রাম রাজত্ব করেছে। আল্লাহ খোদাও মানেনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে লজ্জাজনকভাবে পালিয়ে দাদীর দেশে চলে গেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবার কোনো পলাতক স্বৈরশাসক টেলিফোনে হুমকি দিচ্ছে-অমুককে দেখে নেবো, তমুককে বিচার করবো। বেহায়া নির্লজ্জ।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ছাত্র জনতা উসিলা হয়ে আল্লাহর গজব এসেছে। এই সাড়ে পনেরো বছরে মৌলভীবাজারে কোনো উন্নয়ন হয়নি। সাইফুর রহমানের জায়গায় আওয়ামী লীগ কিছু করেনি— শুধু হিংসা।

আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক দল না, এটা মাস্তান দল। তারা নামে মন্ত্রী ছিল, এলাকায় উন্নয়ন কাজ কিছুই করতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার ২ অক্টোবর রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এম নাসের রহমান।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন-নাসের রহমানের সহধর্মিণী রেজিনা নাসের, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবদুল মুকিত, বকসী মিসবাহ উর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বদরুল আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমান মজনু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান শফিসহ স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com