আলেমদের মর্যাদা : কোরআন ও হাদীসের আলোকে

October 4, 2025,

বশির আহমদ : আল্লাহ তা‘আলা কোরআনুল কারীমে ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে যারা জ্ঞান রাখে (আলিমগণ), তারাই আল্লাহকে সর্বাধিক ভয় করে। (সূরা ফাতির : ২৮)

এই আয়াতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, আল্লাহভীতি বা তাকওয়ার আসল প্রকাশ ঘটে আলেমদের জীবনে। আলেমবিহীন মানুষ হয়তো ইবাদত করে, কিন্তু একজন আলেম ব্যক্তি আল্লাহকে যেমন জেনে ইবাদত করেন, তেমন করেই ভয় করেন।

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, বলুন (হে নবী), যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে? (সূরা যুমার : ৯)

এই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, জ্ঞানী ব্যক্তি বা আলেমের মর্যাদা অজ্ঞ ব্যক্তির তুলনায় অনেক উচ্চ। আল্লাহ তাআলা জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষকে মর্যাদা দান করেছেন, আর আলেমগণ সেই মর্যাদার প্রকৃত অধিকারী।

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  ইরশাদ করেছেন, আলেমগণ হলেন নবীগণের উত্তরাধিকারী। (আবু দাউদ, তিরমিজি)

অর্থাৎ, নবীগণ যেমন মানবজাতির পথপ্রদর্শক ছিলেন, তেমনি আলেমরাও সেই দায়িত্বের ধারক ও বাহক। তারা নবীদের রেখে যাওয়া দীন ও জ্ঞানের উত্তরাধিকার গ্রহণ করে সমাজে আলো ছড়ান এবং অন্ধকার দূর করেন।

বর্তমান সমাজে আলেমদের ভূমিকা অপরিসীম। তারা মানুষকে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে সঠিক পথ দেখান, সমাজে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলেন এবং আল্লাহভীতির শিক্ষা দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

সব মিলিয়ে বলা যায়, আলেমগণই প্রকৃত অর্থে মানবতার পথপ্রদর্শক, জাতির বিবেক ও উম্মাহর দিকনির্দেশক। তাঁদের সম্মান করা মানেই জ্ঞানের, ধর্মের ও আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করা। তাই আল্লাহভীরু এই জ্ঞানীদের মর্যাদা রক্ষা করা এবং তাঁদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।

লেখক, বশির আহমদ, অধ্যক্ষ, উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা, মৌলভীবাজার।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com