মৌলভীবাজারে আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকদের মুখে হাসি
স্টাফ রিপোর্টার : মৌলভীবাজারে শুরু হয়েছে মৌসুমী আমন ধান কাটার কাজ। মাঠ জুড়ে এখন ধান কাটার ব্যস্ততা, আর কৃষক-কৃষানীর মুখে হাসি। এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলনে আশাবাদী কৃষকেরা।
কৃষি বিভাগ জানায়, সারা জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৯৮ হাজার ৩৫ হেক্টর। চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৫ হেক্টর চাষাবাদ কম হয়েছে। এবার কৃষকেরা ব্রি-ধান ১০৩, ব্রি-ধান ৫১, ৫২ ও ৪৯ জাতের বেশি চাষ করেছেন। এ ছাড়া বন্যার পানি মোকাবিলা করতে সক্ষম ব্রি-ধান, ২২ ও ২৩ জাতের ধান চাষ করেছেন অনেকে।
ভূজবল এলাকার কৃষক কাইয়ুম আবেদীন জানান, ৯ বছর ধরে তিনি নিয়মিত খেত করছেন। এবার প্রায় ৪৫ কিয়ার জমিতে আমনের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, প্রতি কিয়ারে ১৭ থেকে ১৮ মণ ধান আশা করছি। পোকা কিছুটা ছিল, ওষুধ দিয়েছি। তবে এবার ইঁদুরের উপদ্রব বেশি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার গয়ঘর গ্রামের আকরম মিয়া জানান, এ বছর তিনি শহরের নিখস্ত কাঞ্জা হাওরে ৫ কিয়ার জমি বর্গা নিয়েছিলেন। আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে তার ৩ কিয়ারের ধান নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি জমিতেও আশানুরূপ ফলন হয়নি। ঋণ করে চাষ করেছিলাম, এখন সেই টাকা ফেরত নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি, বলেন তিনি।
মৌলভীবাজার কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো: জালাল উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে আমাদের আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৮ হাজার ৩৫ হেক্টর। চাষাবাদ হয়েছে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর। ১৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়নি। চলতি মৌসুমে পরিমিত বৃষ্টি হওয়ায় ধানি জমিতে পানি থাকায় ধানের খাদ্যে ঘাটতি দেখা দেয়নি। এতে ফলন ভালো হয়েছে। ধানে চিটা হবে না। ফলন ভালো হওয়ায় ধান উৎপাদনের মাত্রা ঠিক থাকবে।
কৃষি বিভাগ আশা করছে, এই উৎপাদন জেলার ধান সংরক্ষণ ও বাজারে সরবরাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।



মন্তব্য করুন