ওয়াশ ভলান্টিয়ারদের হাইজিন প্রোমোশন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ শ্রীমঙ্গল আইডিয়া’র হাইজিন প্রোমোশন বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ব্র্যাক লানিং সেন্টারে এ প্রশিক্ষন কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রেম সাগর হাজরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলোকিত বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সংবাদিক সৈয়দ ছায়েদ আহমদ ও আইডিয়া’র প্রজেক্ট ম্যানেজার পঙ্কজ ঘোষ দস্তিদার।
চা শ্রমিকদের হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে অবহিত ও তা মেনে চলার জন্য অত্র প্রকল্পে ৩৪ জন ওয়াশ ভলান্টিয়ার নিয়োজিত আছে যারা প্রত্যেকে ১০০ থেকে ১২০টি পরিবারকে নিয়োমিত ওয়াশ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করে থাকে সাথে সাথে প্রতিটি বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন নির্মান, ল্যাট্রিন ব্যবহার, হাত ধোয়ার পাত্র স্থাপন ও প্রতিদিন অন্তত ৫ বার বিশেষ করে খাওয়ার আগে, ল্যাট্রিন থেকে ফিরে, বাচ্চাকে শৌচ কাজ করানোর পর, রান্নার করা ও খাবার পরিবেশনের সময় হাত ধোয়ার অভ্যাস শেখানো হয়। চা শ্রমিকদের সহযোগিতা করার জন্য আইডিয়া প্রতিটি পারিবারে ল্যাট্রিন স্থাপন করার জন্য রিং স্লাব এবং হত ধোয়ার জন্য একটি ২০ লিটার পানির পাত্র প্রকল্প থেকে দিয়ে থাকে। ইতিমধ্যে প্রকল্প এলাকায় হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত সরকারী ও বেসরকারী স্কুলগুলোতে সুদৃশ্য ওয়াশ ব্লক স্থাপন করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরকেও এ বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করা হচ্ছে।
ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট এফেয়ার্স- আইডিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত চা বাগানে ওয়াটারএইড-এর সহায়তায় ওয়াশ ফর টি পিকারর্স প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে। অবহেলিত চা শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন নিয়ে অত্র প্রকল্পটি ২০১৬ইং সাল থেকে কাজ করছে। ইতিমধ্যে মাজদিহি এবং কালিঘাট বাগানে শতভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে বর্তমানে বিদ্যাবিল, হরিনছড়া, টিপরাছড়া, পুটিয়াছড়া, সাতগাও ও নাহার চা বাগানে কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য বাগানেও এই কার্যক্রমের ব্যাপ্তি ঘটবে বলে জানিয়েছে অত্র প্রকল্পের ম্যানেজার পঙ্কজ ঘোষ দস্তিদার।
ওয়াশ ভলান্টিয়ারগন চা বাগানেরই সন্তান, আইডিয়ার হাইজিন প্রোমোশন অফিসার প্রীতি ইসলাম বলেন এই ৩৪ জন ভলান্টিয়ার চা বাগানের একটি সম্পদ তারা ওয়াশ বিষয়ক যে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করেছে তার সুফল প্রতিটি পরিবার তথা প্রতিটি মানুষ পাবে। ওয়াশ ভলান্টিয়ারগন জানান ইতিমধ্যে তাদের নিজ নিজ বাগানে ডাইরিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিশ প্রভৃতি রোগের প্রকোপ অনেকাংশে কমে গেছে। আগে মানুষ চারাবড়িতে পায়খানা করতো এখন আর করেনা। আইডিয়ার সাথে কাজ করে আমরা জানতে পেরেছি যে অল্প খরচে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন কিভাবে বানানো যায় এবং নিজের ল্যাট্রিন নিজেকে বাগানে হয় তারা আরও বলেন চা বাগানের জন্য অত্যন্ত প্রযোজ্য স্যাটোপ্যান দিয়ে ল্যাট্রিন বানানো যা আগে আমরা জানতাম না এতে অনেক কম পানি খরচ হয় এবং ব্যবহারেও অনেক সুবিধা।
প্রশিক্ষনটি পরিচালনা করেন আইডিয়ার হাইজিন প্রোমোশন অফিসার প্রীতি ইসলাম ও প্রজেক্ট অফিসার বিশ^জিৎ দেব রায়।
প্রশিক্ষন শেষে অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে প্রকল্প কর্তৃক অতিথিবৃন্দের মাধ্যমে ছাতা বিতরন করা হয়।
মন্তব্য করুন