কমলগঞ্জে ধর্মপুর সপ্রাবি’র বুদ্ধী প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা দপ্তরী জেলহাজতে

September 21, 2019,

স্টাফ রিপোর্টার॥ কমলগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর বুদ্ধী প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে একই বিদ্যালয়ের দপ্তরী অজিত দেবনাথ। পরে ছাত্রীটি বাড়ীতে গিয়ে তার মাকে ঘটনা জানালে, ছাত্রীর পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধর্ষণ চেষ্টাকারী দপ্তরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ৯টার দিকে ধর্মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতলার শিশু প্রথম শ্রেণীর কক্ষে।

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ- বিদ্যালয়ের দপ্তরী অজিত বুদ্ধী প্রতিবন্ধী ছাত্রীটিকে ডেকে নিয়ে বিদ্যালয়ের দোতলার শিশু প্রথম শ্রেণীর কক্ষ ঝাড়– দিতে বলে। অজিতের কথামত ছাত্রীটি কক্ষ ঝাড়– দিতে থাকাবস্থায় অজিত কক্ষের দরজা বন্ধ করে তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় অজিত তাকে ধরে জোরপূর্বক পড়নের সেলোয়ার খোলে ফেলে এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। একপর্যায়ে ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে সে চিৎকার দেয়। এসময় একই বিদ্যালয়ের ছাত্রী তার ছোটবোনসহ আরেক ছাত্রী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অজিত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর ছাত্রীটি বাড়ি ফিরে তার মাকে ঘটনা জানালে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানান। প্রধান শিক্ষক শান্তনা দিয়ে বলেন- তিনি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ডেকে এর যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। এরপর দুইদিন অতিবাহিত হলেও প্রধান শিক্ষকের কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত না হওয়ায় ছাত্রীটির পিতা লুন্দর মিয়া কমলগঞ্জ থানায় মামলা (নং- ১৩, জিআর- ১৮৭/১৯, তাং- ১৬-০৯-২০১৯) দায়ের করলে পুলিশ অজিতকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

ধর্ষনচেষ্টার শিকার বুদ্ধী প্রতিবন্ধী ছাত্রীটি মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে জানায়Ñ অজিত আমাকে একা পেয়ে আমার বুকের ভিতর টিপ মেরে ধরে। আমার বুকের দুধ টিপতে থাকে। ৪/৫ বার এরকম করেছে। আমার বুকের জামা সরিয়ে টিপতে থাকায় আমি চিৎকার দিতে চাইলে আমার মুখ চেপে ধরে। তার পুরুষাঙ্গ বের করে আমাকে নাড়াতে বলে। আমি নাড়াইনি। আমাকে বুকে টান দিয়ে ধরে আমাকে আবার টিপ মারে। আমি ছাড়িয়ে চলে আসি।

কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান এ ঘটনায় মামলা হয়েছে জানিয়ে বলেন- অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অজিত ঘটনা স্বীকার করেছে। সরেজমিন ধর্মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেলে প্রধান শিক্ষক পংকজ কুমার ভট্রাচার্য্য জানান- ঘটনার শিকার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীটি ধর্মপুর গ্রামের লুন্দর মিয়ার কন্যা। তিনি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি অবহিত হন। এর কিছুসময় পর ছাত্রীটির মা এসে আমাকে বিষয়টি জানালে আমি তাকে শান্তনা দিয়ে বলি ম্যানেজিং কমিটি ডেকে এর একটি সঠিক ব্যবস্থা নেব। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়ে অজিতকে ডেকে এনে জিঞ্জাসা করলে সে অপরাধ স্বীকার করে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com