করোনায় তরুন উদ্যোক্তা ক্ষুদে বিজ্ঞানী এস.এম কিবরিয়ার সফলতা

July 15, 2020,

স্টাফ রিপোর্টার॥ পৃথিবীটা যখন করোনা ভাইরাসের কারনে আজ অশান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ- তখন দেশের মানুষকে এই মহামারী (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাস থেকে কীভাবে সবাইকে সচেতন রাখা যায় তা নিয়ে প্রতিনিয়ত বৈজ্ঞানিক রিসার্চ করে যাচ্ছেন ক্ষুদে বিজ্ঞানী কিবরিয়া।

করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর যখন বাংলাদেশে প্রথম ডক্টর সেফটি চেম্বার নরাইলের একটি হাসপাতালে এমপি মাশরাফি’র অর্থায়নে স্থাপন করা হয় তখন বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডক্টর সেফটি চেম্বার তৈরি করলো সেই ক্ষুদে বিজ্ঞানী এস এম কিবরিয়া।

কিবরিয়া জানান, এই ডক্টরস সেফটি চেম্বার দ্বারা ডাক্তার, এবং রোগী ও সাধারন মানুষ এই মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকবেন ও ডাক্তারদের জীবনের ঝুঁকি কিছুটা কম থাকবে।

এবং তিনি আরও একটি প্রজেক্ট তৈরী করেছেন, যা করোনা ভাইরাস থেকে সাধারন মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের অর্থায়নে হাসপাতাল,উপজেলা পরিষদ,থানা কমপ্লেক্স, মসজিদ,শপিংমহল, বাজারের প্রধান গেইটের সামনে, ইত্যাদি তে ব্যবহার করা হচ্ছে এই জীবাণুনাশ টানেল টি।

এই জীবাণুনাশ টানেল অটোমেটিক সেন্সর দ্বারা পরিচালিত হয়,এবং টানেল টি-তে পাঁচটি নজেল দ্বারা একদম কুয়াশার মতো স্প্রে করে, এবং টানেলটির মধ্যে সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড লিকুইড মেডিসিন ব্যবহৃত হয়, এই জীবানুনাশক টানেল এর ভিতর দিয়ে প্রবেশ করলে করোনা ভাইরাস-সহ বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসকে খুবই দ্রুত ধ্বংশ করতে পারে। তিনি এই পর্যন্ত ১৪ টি ডক্টরস সেফটি চেম্বার ও ১৫ টি জীবানুনাশক টানেল বন্টন করেছেন।

কিবরিয়া বলেন আমি যদি পরিপূর্ণ সার্পোট পেতাম তাহলে এই করোনা ভাইরাস এর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গবেষণা করতাম।

কিবরিয়া রাজনগর সরকারি কলেজ এর বিজ্ঞান এর মেধাবী ছাত্র। বৈজ্ঞানিক রিসার্চ ও লেখা পড়ার পাশাপাশি, সংবাদকর্মী হিসেবে বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করে যাচ্ছেন এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com