এসডিজি বাস্তবায়নে আগামী ৫বছর শ্রীমঙ্গলের পর্যটন ও পর্যটন বান্ধব কৃষিতে গুরুত্ব দেয়ার আহবান

December 7, 2020,

বিকুল চক্রবর্তী॥ দারিদ্রতা বিমোনে জাতীয় পর্যায়ে ৩৯টি সুচকের সাথে স্থানীয় পযার্যে সর্বাধিক গুরুত্ব বহনকরে এমন একটি সূচক নিধার্ণন করতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক ও সূধীজনদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিন ব্যাপী কর্মশালা।

সোমবার সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ব্রাক টেনিং সেন্টারে আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ শ্রীমঙ্গল এর সভাপতি ডা: হরিপদ রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রেম সাগর হাজরা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তী, নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট অর্নব মালাকার ও রাজঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী।

কর্মশালায় ৫০জন অংশগ্রহনকারী শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্প বিকাশের পাশাপাশি পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত কৃষি উন্নয়নে সেচ কার্যক্রম, শহর ও শহরতলীর পাহাড়ী ছড়া ও হাইল হাওরের বিল দখল মুক্ত করে খনন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এ সময় বক্তাদের আলোচনা পর্বে আরো উঠে আসে পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল ইতিমধ্যে অনেক ধাপ এগিয়ে গেছে। তবে তা যথাযত ভাবে হচ্ছে না। এর জন্য প্রয়োজন পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার লক্ষ্যে বর্জ ব্যবস্থাপনা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শহরের প্রত্যেকটি পাহড়ী ছড়া দলখ মুক্ত করে খনন করা, পর্যটন বান্ধব কৃষির উন্নয়ন চা, পান, লেবু, আনারস, কমলা, মাল্টাসহ অনান্য কৃষিজ দ্রবেরর জন্য সেচ কার্যক্রম ও উন্নত জাত এবং কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রনোদনা প্রদান। পর্যটকদের নিরবিচ্ছিন্ন যাতায়াত ব্যবস্থা নিধারণ করতে বাস ষ্ট্যান্ড, প্রাইভেট গাড়ীর ষ্ট্র্যান্ড ও শহরের যানজট নিরসন করা। বৃক্ষ রোপন ও পাহাড় কাটা বন্ধ করা। ইকো ট্যাুরিজম ডেভলাপ করা ও শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে বাড়ানো।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

১টি মন্তব্য “এসডিজি বাস্তবায়নে আগামী ৫বছর শ্রীমঙ্গলের পর্যটন ও পর্যটন বান্ধব কৃষিতে গুরুত্ব দেয়ার আহবান”

  1. মৌলভীবাজার জেলার 2টি উপজেলায় অবস্থিত হাইল হাওর প্রাকৃতিক সৌন্দ্যর্যে এবং জীব বৈচিত্যে পরিপূর্ণ এলাকা। এই হাওরে পড়েছে ভূমি দস্যুদের থাবা। ভুমিখেকোদের কবলে পড়ে হাওর অঞ্চল হারাতে বসেছে তার নিজস্ব গতিধারা । হাওর অঞ্চলের জমি সাধারন মানুষের কাছ থেকে ক্রয় করে প্রভাবশালীরা হাওরের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট করে তৈরী করছে মাছের খামার। প্রভাবশালীরা তাদের ক্রয়কৃত জমির পাশের খাস জমি দখল করার কারণে হাওরে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘঠছে । প্রভাবশালীরা প্রচুর পরিমানে জমি কিনে তাদের পাশে সাধারন মানুষের জমি জোর করে দখল করছে বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাদের কাছে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করছে।
    মৌলভীবাজর ও শ্রীমঙ্গলের প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক দুবৃত্ত এবং জনপ্রতিনিধিরা এখন হাইল হাওর দখলের মহোৎসবে লিপ্ত। যে জনপ্রতিনিধিরা সাধারন মানুষের সুেযোগ সুবিধা দেখার কথা তারাই এখন হাইল হাওরে মাছের খামার করতে খাস জমি দখলে ব্যস্ত । খাস জমি দখলের কারণে গবাদি পশু হারাচ্ছে তাদের স্বাভাবিক চলাচলের পথ এর ফলে স্থানীয় মানুষ গবাদি পশু পালন করতে উৎসাহ হারাচ্ছেন।
    মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন হাওর লাগোয়া জনপ্রতিনিধিরা হাওর দখলের এগিয়ে রয়েছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। নাজিরাবাদ ও গিয়াসনগর ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা ভুমি দখলের শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে।
    এক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন এর কর্মকর্তারা নীরব ভুমিকা পালন করেছেন। এ পর্যায়ে হাইলা হাও র রক্ষায় কৃষিজীবিদের বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য এখনই সোচ্চার না হলে হাওরে সাধারন মানুষের চলাচল এক সময় বন্ধ হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com