শ্রীমঙ্গলে জাগরণের গানে মুক্ত দিবস পালন

তোফায়েল পাপ্পু॥ শ্রীমঙ্গলে শ্রীমঙ্গল মুক্ত দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাগরণের গান অনুষ্ঠানের। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়েছিলো।
৬ ডিসেম্বর রোববার রাতে স্থানীয় সংগঠন উদ্দীপ্ত তারুণ্যের আয়োজনে শহরের ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানটি করা হয়।
সন্ধ্যায় ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে জাতীয় সংগীত, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, জাগরণের গান (দেশাত্মবোধক গান, আবৃত্তি ও নৃত্য) ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে বিকাল ৩টায় শ্রীমঙ্গল মুক্ত দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
উদ্দীপ্ত তারুণ্যের মুখপাত্র সানজিতা শারমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার সহকারি সিনিয়র পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিরাজ সেন তরুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহন সোম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অমলেন্দু পাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহার রঞ্জন নাথ, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দেবাশীষ চৌধুরী রাজা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন লেখক ও ছড়াকার অধ্যাপক অবিনাশ আচার্য। অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন নাট্যবেদ নৃত্য নিকেতন, শ্রীমঙ্গল নৃত্যালয়, সমতা খেলাঘর আসর, শিকড় ব্যান্ড।
উদ্দীপ্ত তারুণ্যের সমন্বয়ক মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে শ্রীমঙ্গল থেকে পাক হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়। এই দিন শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে স্বাধীন দেশের পতাকা উড়ান। ৬ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, ঐতিহাসিক দিন। আমরা উদ্দীপ্ত তারুণ্যের আয়োজনে এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলমুক্ত দিবস উপলক্ষে জাগরণের গানের আয়োজন করে থাকি।
মন্তব্য করুন