অসহায় পরিবারের পাশে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ

আব্দুস শুকুর॥ কমলগঞ্জে একটি ভাঙ্গা ঘরে সবাইকে নিয়ে আঁকড়ে ধরে বসবাসের প্রচেষ্টায় একটি পরিবার।
অসহায় পরিবারটির মনে অনেক স্বাদ ভালভাবে বেঁচে থাকার কিন্তু সাধ্য নেই। কারন ১১ বছর আগেই মারা গেছেন পরিবারের মূল গার্জিয়ান রাজা মিয়া।
দুই বিধবা স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে যান তিনি। মৃত রাজা মিয়ার বড় বউ জাহানারা বেগম সেলাই মেশিনের কাজ করে ও ছোট বউ হালিমা বেগম গৃহিণী। তাদের সব সন্তানরা এখনও বেকার।
সেলাই মেশিনে এলাকার মানুষের কাপড় তৈরি করে যে টাকা উপার্জন করে তাতেই কোনরকম সংসার চলছে তাদের।
স্বামীর রেখে যাওয়া মাটির দেয়ালের জরাজীর্ণ ঘরটিতেই বসবাস করে আসছিলেন অসহায় এই পরিবারটি। অনেক সময় জীবন চালাতে পাড়া-প্রতিবেশিদের কাছেও হাত পেতে নিতে হয় সাহায্য।
দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মানো পরিবারটির মাথা গোঁজার একমাত্র ঘরটিও এই শীতের সময়ে ধসে পড়ে। বাড়িটি ধসে পড়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার ২৬ নভেম্বর সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের বড়গাছ গ্রামে।
দুঃখজনক ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) এর নজরে আসে।
বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পরিবারটিকে সহযোগিতা করতে বলেন তিনি।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ঘর মেরামতের জন্য টিন ও নগদ অর্থের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এর পক্ষ থেকে পরিবারটির জন্য চাল, ডাল, আলু, পিঁয়াজ, তেল ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এসব খাদ্য সামগ্রী পরিবারটির হাত তুলে দেন কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান।
শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, জেলা পুলিশ সুপার জনাব ফারুক আহমেদ অত্যন্ত বিচক্ষণ ও বড় মনের মানুষ। তিনি এ জেলায় যোগদানের পর অনেক মানবিক কাজ করেছেন। তিনি বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষায় মৌলিবাজার জেলা পুলিশকে একটি সত্তিকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেনতিনি। আরো বলেন, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এর মূল লক্ষ্য মানুষ যেন পুলিশ থেকে তার প্রকৃত সেবা পায়।
মন্তব্য করুন