একাদশ জাতীয় নির্বাচন আসন্ন পর্যটন এলাকা শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের বৃহত সমস্যা গুলোর সমাধানে কি বিজয়ী এমপি ভুমিকা রাখবেন ?
বিকুল চক্রবর্তী॥ স্বাধীনতার ৪৭ বছর অতিক্রান্ত। একে একে দেশে ১০টি সংসদীয় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচন হতে আর কয়েক মাস হাতে আছে। একটি নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে মুল ভুমিকা রাখেন ওই এলাকার সংসদ সদস্য। সংসদ সদস্য নিজের দক্ষতা ও জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় এরুপ উপস্থাপন করে এলাকার উন্নয়নমুলক কাজগুলোর অনুমোদন আনেন।
দেশের আর দশটি উপজেলার চেয়ে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ উপজেলা ভিন্ন। ভৌগলিক ও প্রাকৃতিক কারণে এ দুই উপজেলার গুরুত্ব শুধু দেশে নয় বিশ্বব্যাপী সমাদ্রিত। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন এই নির্বাচনী এলাকায়। পর্যটনের কারনে বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, উন্নয়ন আর প্রাপ্তিতে অনেক পিছিয়ে চা বাগান অধ্যুষিত এ দুই উপজেলা ।
বিগত সরকারের সময়ে এই দুই উপজেলার মানুষের চাওয়া অনেক গুলো দাবীই অপুরণ রয়েগেছে। তাদের দাবী আগামীতে যিনি সংসদ সদস্য হবেন তাকে এলাকার উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে হবে।
উঁচু পাহাড়ী এলাকা হওয়ার পরও শ্রীমঙ্গলে একটু বৃষ্টি হলেই শহরতলীল বিভিন্ন আবাসিক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। বাড়িঘরে পানি উঠে পোহাতে হয় মারাত্বক দূর্ভোগ। শহরতলীর সন্ধানী এলাকার বাসিন্ধা সত্যব্রত দত্ত টুলটুল বলেন, এর জন্য প্রয়োজন শ্রীমঙ্গলের প্রত্যেকটি পাহাড়ী ছড়া (জলধারা) হাওর পর্যন্ত খনন করা। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এই উদ্যোগ গ্রহণে কেউ এগিয়ে আসেননি। ছড়াগুলো খনন করলে এলাকা বাঁচবে তার একটি প্রমান শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া ছড়ার কিয়দংশ খননের ফলে এই বর্ষা মৌসুমে এলাকায় এবার বন্যার পানি উঠেনি। শ্রীমঙ্গলের জনগণ আগামী সংসদ নির্বাচনে নিজের জনপ্রতিনিধিকে দেখতে চায় কর্মকুশল ও জনগনের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে, যিনি জনগণের কথা বলেন ও প্রত্যেকটি ভোটারদের মুল্যায়ন করেন।
পৌরসভা
দীর্ঘ ৮০ বছরেও শ্রীমঙ্গল পৌরসভা একবর্গ কিলোমিটারের বাহিরে বের হতে পারেনি। ফলে নগর বেড়েছে বিগত ৩০ বছর পূর্বে। কিন্তু নগরায়নের সুবিধা নেই। পুরো শহরতলীটাই যেন অগোছালো, অপরিস্কার। পয়ঃ নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকরা শ্রীমঙ্গল সম্পর্কে একটি বিরুপ ধারণা নিয়ে ফিরেন। অথচ- অভিযোগ রয়েছে শ্রীমঙ্গলের কিছু স্বার্থন্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থে ও অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে পৌরসভার একবর্গ কিলোমিটারকে লাল ফিতায় বন্দি রেখেছেন। সকল স্বার্থ উর্ধে রেখে শ্রীমঙ্গলের পর্যটকদের বিষয়টি মাথায় এনে উন্নয়নের স্বার্থে এই সংসদীয় আসনের জনগণের প্রতিনিধিকে পৌরসভা বর্ধিত করণে ভূমিকা রাখাসহ স্থগিত হওয়া পৌরসভার নির্বাচন দেয়াতে ভুমিকা রাখতে হবে।
বাস ষ্ট্যান্ড-
শ্রীমঙ্গল পর্যটন এলাকা হওয়াতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন শ্রীমঙ্গলে। কিন্তু দূর্ভাগ্য, এই শ্রীমঙ্গলে নেই কোন বাস ষ্ট্যান্ড। এতে যাত্রীদের পোহাতে হয় মারাত্মক দূর্ভোগ। দীর্ঘ দিন ধরে শ্রীমঙ্গলবাসী এই আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু ফলাফল শুণ্য। রাস্তার উপর এলোপাথারী ও এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকে যানবাহন, ঢাকা – সিলেট হাইওয়েতে হরদম চলে যানবাহন ঘুরানো। ফলে যানজট এখানকার মানুষের নিত্যসঙ্গী।
ষ্টেডিয়াম-
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় মানের ষ্টেডিয়াম স্থাপনের দাবী দীর্ঘদিনের। ক্রীড়ামোদীদের জন্য এখানে একটি ষ্টেডিয়াম হলে যেমন বাড়বে ক্রীড়া চর্চা, তেমনী বিনোদনের সুযোগ পাবেন শ্রীমঙ্গলবাসী তথা শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
এগ্রো বেইজ ইন্ডাস্ট্রি-
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে প্রচুর পরিমানে আনারস, লেবু, কাঠাল, নাগা মরিচের চাষ হয়। যা শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকদেরও প্রলুব্ধ করে। কিন্তু শ্রীমঙ্গল- কমগঞ্জে কোন এগ্রোবেইজ ইন্ডাস্ট্রি না থাকায় চাষীরা নায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শ্রীমঙ্গল ডুলুবাড়ী এলাকার আনারস চাষী বিদ্যাম্বর দেব বর্ম্মা জানান, সিজনে এক সাথে সব ফসল পেঁকে যাওয়াতে অনেক ফল মাঠেই নষ্ট হয়। এতে অনেকেই এ সব উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছেন। কিন্তু একটি ফুড প্রসেসিং সেন্টার হলে হয়তো তা হতো না। এখনও যা আছে তার জন্য এগ্রোবেইজ ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন জরুরী। আগামী সংসদ নির্বাচনে যিনি বিজয়ী হবেন তাকে সে ভুমিকা রাখতে হবে।
পর্যটন মোটেল-
মৌলভীবাজার জেলাতথা সিলেট বিভাগের দৃষ্টি নন্দন জায়গাগুলো দেখতে ৯০ ভাগ পর্যটক শ্রীমঙ্গলেই রাত্রী যাপন করেন। অথচ শ্রীমঙ্গলে নেই পর্যটন কর্পোরেশনের একটি মোটেল। একটি মোটেল স্থাপনের জন্য ফিনলে চা কোম্পানীর জমি অধিগ্রহন করে স্থাপনা শুরু করলেও তা রহস্যজনক কারনে বাতিল হয়ে যায়। যা অত্যন্ত দু:খজনক। রেষ্ট হাউজ ব্যবসায়ী এস কে দাশ সুমন জানান, গুরুত্ব বিবেচনায় শ্রীমঙ্গলে একটি পর্যটন মোটেল স্থাপন অতীব জরুরী। যার জন্য মুল ভুমিকা নিতে হবে সংসদ সদস্যকেই।
বৃদ্ধাশ্রম-
শ্রীমঙ্গলের পর্যটন এলাকায় মনোরম পরিবেশে বৃদ্ধাশ্রম স্থাপনের দাবী ছিলো দীর্ঘ দিনের। যার জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে শহরতলীর কাকিয়াছড়া চা বাগানের পাশে জমি অধিগ্রহন করে সীমানা প্রাচীরও দেয়া হয়। কিন্তু বিগত ১৫ বছর ধরে তা খালি জমিতেই সীমাবদ্ধ। যার বাস্তবায়নে উদ্যোগী কোন ভূমিকা লক্ষ করা যায়নি। প্রাক্তন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতলিব জানান, পর্যটন মোটেলের মতো এটিও ভেস্তে যাওয়ার পথে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর কাছে শ্রীমঙ্গলবাসীর দাবী এটি স্থাপনে জোরালো ভূমিকা রাখা।
বাইপাস-
শ্রীমঙ্গল শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে একটি বাইপাস সড়ক নির্মানের দাবী শ্রীমঙ্গলবাসীর দীর্ঘ দিনের। কিন্তু বিভিন্ন দাবীরমতো সে দাবীও অপুরণ রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে শ্রীমঙ্গল শহর যানজট মুক্ত থাকবে। এতে শহরবাসী তথা পর্যটকরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চলাচল করতে পারবে। যার জন্য প্রধান ভুমিকা রাখতে হবে স্থানীয় সংসদ সদস্যকেই।
ভঙ্গুর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা-
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের আঞ্চলিক সড়কগুলো নাজেহাল অবস্থায় থাকায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল যারা বেড়াতে আসেন তারা একটি বিরুপ অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এর জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রীমঙ্গল -সমশের নগর, সমশের নগর- মৌলভীবাজার, সমশের নগর- চাতলাপুর চেকপোষ্ট, শ্রীমঙ্গল- ধলাই চা বাগান, ভানুগাছ- পাত্রখলা, ভানুগাছ- চাম্পারায় রাস্তা, শ্রীমঙ্গল থেকে নুরজাহান হয়ে মাধবপুর লেক, শ্রীমঙ্গল – নাহার পুঞ্জি, শ্রীমঙ্গল- বর্মাছড়া, শ্রীমঙ্গল- কালেঙ্গা, শ্রীমঙ্গল- বাইক্কা বিল, শ্রীমঙ্গল- কালাপুর- গ্যাস প্লান্ট, শ্রীমঙ্গল- সমশেরগঞ্জ , শ্রীমঙ্গল ষ্টেশন রোড, কমলগঞ্জ উপজেলা- মুন্সিবাজার, কমলগঞ্জ- চৈত্যন্য গঞ্জসহ দুই উপজেলার আভ্যান্তরিন সড়ক গুলো নির্মান ও পুন সংস্কার জরুরী। এছাড়া, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা সড়কের জন্য বন্যপ্রানীর অবাধ বিচরণ বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়। এজন্য, বনকে এড়িয়ে বিকল্প রেল লাইন ও রাস্তা জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্র আসনের জনগণের প্রাণের দাবী।
খাস জমি দখল-
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার হচ্ছে শ্রীমঙ্গল রাধানগর, মহাজিরাবাদ, বিশামনী, ডুলুবাড়ি, লাখাইছড়া, হরিণছড়া, পাত্রখলা পুঞ্জি এলাকা, পশ্চিম ভানুগাছ বনসহ বিভিন্ন পুঞ্জি ও তার আশপাশ এলাকা। যার অধিকাংশ জমিই সরকারী খাস। ইতিমধ্যে তার ৯৫ ভাগই দখল হয়ে গেছে। দখলদাররা প্রথমে সে জমিতে লেবু আনারস, পান, লিচু, কাঠাল, নাগা মরিছ চাষ করেন। পরে কেউ কেউ কৌশলে ও জোগসাজস করে সেটেলমেন্টে তাদের নাম অর্ন্তভুক্ত করেন। কেউ কেউ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তা দখল করেন। বর্তমানে সে সব এলাকা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। আর গড়ে উঠছে ইমারত। যে সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকরা ছুঠে আসেন এই এলাকায় আজ তাতে গভীর ক্ষত ধরেছে। ভোট ও জনবলের আশায় সংসদ সদস্য তাদের অন্যায় কাজের প্রতি কঠোর হন না। কিন্তু প্রকৃতির স্বার্থে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে আনা প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন মডেল গ্রাম করে তাদের স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা নেয়া। যদিও এদের বেশীরভাগেরই অন্যত্র জমিজমা রয়েছে।
শমশের নগর বিমান বন্দর–
শমশের নগর বিমান বন্দর- পুনস্থাপন এ এলাকার মানুষের বহুদিনের দাবী । ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জের বেশ দুরত্ব হওয়ায় সময়ের কারনে অনেক দেশী বিদেশী পর্যটক ইচ্ছা থাকার পরও শ্রীমঙ্গল বেড়াতে আসেন না। কিন্তু ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত এই বিমান বন্দরটি যদি পুনঃ চালু হয় তা হলে এ এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের একটি দাবী পুরণ হবে। পর্যটকরা অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন।
দাদন (সুদখোর) ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম-
পর্যটন নগরী ঝঞ্জাটমুক্ত ও প্রাণবন্ত হওয়া, এলাকার মানুষের সহজ- সরল সহযোগিতামুলক ব্যবহার যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। কিন্তু শ্রীমঙ্গলে প্রভাবশালীমহলের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণীর দাদন ব্যবসায়ী সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তাদের কাছ থেকে উচ্চসুদে টাকা নিয়ে, কেউবা হার্ট এ্যাটাক, কেউবা বিষপানে আত্মহত্যা করছেন। বাড়ি ঘর ছেড়ে এদের ভয়ে অনেকে এলাকা ছাড়ছেন। তথাকথিত সম্পুর্ণ অনুমোদনহীন এবং অবৈধ ‘সমিতি’র (মাইক্রোক্রেডিট, আসলে সুদের ব্যবসা) নামে ও আড়ালে নগদ টাকার কারবারীরা স্বাক্ষরকৃত ব্যাংকের ব্ল্যাংক চেক জমা নিয়ে, মামলার ভয় দেখিয়ে অনেক মানুষকে নিঃস্ব করে ফেলছে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এ এলাকার জনগণ চিহ্নিত সুদব্যবসায়ীদের নিকট জিম্মি হয়ে নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এছাড়া, কিছু চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের ম্যানেজ করে লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়াখেলাও চলছে সংগোপনে । এগুলো চিরতরে বন্ধ করার জন্য সংসদ সদস্যকে ভুমিকা রাখতে হবে বলে দাবী এলাকাবাসীর।
আত্মীয়করণ বা স্বজনপ্রীতি-
আত্মীয়করণ বা স্বজনপ্রীতি মুক্ত নিরবিচ্ছিন্ন পর্যটন নগরীর জন্য এ এলাকায় বিভিন্ন কমিটি গঠনে (রাজনৈতিক, সামাজিক, স্থানীয় নির্বাচন, শিক্ষা প্রতিষ্টান, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক) নিরপেক্ষতা ও সমতা বজায় রাখা প্রয়োজন। এতে হিংসা বিবাদ কমে আসবে আর এলাকার জীবনযাপনে সুন্দর একটি পরিবেশ বজায় থাকবে। সুস্থ্য রাজনীতিতে উচ্চ শিক্ষিত, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া সাবেক রাজনৈতিক কর্মী, আইটি প্রশিক্ষিত তরুন – তরুনীর আগ্রহ থাকলেও, নের্তৃবৃন্দদের সেদিকে নজর নেই। তাদের কদর নেই স্থানীয় রাজনীতিতে। তাই স্থানীয় সংসদ সদস্যকে উদারমনা হয়ে সমতার ভিত্তিতে যেন এই নেতৃত্ব গড়ে উঠে সে দিকে নজর রাখতে হবে।
ধলই নদীর বাঁধ-
ভারত থেকে সরাসরি কমলগঞ্জ উপজেলা হয়ে ধলই নদী মনু নদীতে এসে মিশেছে। নদীটি পুরো বছর প্রায় শান্ত শিষ্ট থাকলেও কোন আভাস ছাড়াই হঠাৎ ক্ষেপে উঠে। আর ক্ষেপে উঠা ধলই তছনছ করে দেয় দু পাড়ের মানুষকে। নষ্ট করে দেয় কৃষকের কষ্টার্জিত ফসলাদি। বিপাকে পড়েন পর্যটকরা। বাংলাদেশে বৃষ্টি নেই কিন্তু ভারতে বৃষ্টি হলে এই ধলই দিয়ে নেমে আসে সে পানি। আর বছরের পর বছর ধরে পানির সাথে বালি এসে ভরে গেছে এর তলদেশ। এখন কয়েক বছর ধরে ঢল নামলেই দু পাড় ডুবে তলিয়ে যায় জনপদ। তাই সার্বিক বিবেচনায় ধলই নদী খনন, ভাঙ্গন এলাকায় ব্লক স্থাপন ও নদীর পাড়ে বেরিবাঁধ নির্মান জরুরী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই স্থানীয়রা এ দাবী করে আসলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এতে প্রতিবছর কয়েকবার ফ্লাস ফ্লাডে পড়েন এ এলাকার বাসিন্দারা। একই সাথে কমলগঞ্জ লাঘাটা নদী খননের জন্য বিগত ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে এলাকাবাসী দাবী জানিয়ে আসছেন। নদীটি খনন না হওয়ায় দীর্ঘ সময় পানিবন্দি হয়ে থাকেন কমলগঞ্জ পতনঊষা ইউনিয়নের জনগণ। বিষয়টি সমাধানে স্থানীয় সংসদ সদস্যের জোরালো ভুমিকা রাখা প্রয়োজন।
বধ্যভুমি-
মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আতœত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতা যুদ্ধে এই দুই উপজেলার রয়েছে গৌরব উজ্জ¦ল ভুমিকা। রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরব গাঁথা ইতিহাস। রয়েছে ১০টিরও বেশি বধ্যভুমি। বাঙ্গালী জাতি ত্যাগের জাতি। তাই স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেয়া সেই সব বীরদের। স্থানীয়দের পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকরা মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানগুলোও দেখে যেতে আগ্রহী হন। তাই শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভুমি ও যুদ্ধ স্পর্ট গুলো সংরক্ষনে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও এ দুই উপজেলায় সংরক্ষনের অভাবে ইতিমধ্যে বিলিন হয়ে গেছে অনেক বধ্যভুমি। স্থানীয়দের উদ্যোগে ও বিজিবি’র সহযোগিতায় শ্রীমঙ্গলের সাধু বাবারথলি বধ্যভুমি ৭১-, ভাড়াউড়া বধ্যভুমি ও কমলগঞ্জের দেওরাছড়া বধ্যভুমি সংরক্ষিত হওয়ায় প্রতিদিন শত শত মানুষ তা দেখতে যান।
হাই স্কুল সরকারী করণ-
হাই স্কুল সরকারী করণ ও নতুন হাইস্কুল স্থাপনের মাধ্যমে এলাকার ভবিষত উন্নয়নে মেধাবী প্রজন্ম গড়তে ওই এলাকার শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি প্রয়োজন। দুই উপজেলায় বিগত ৩০ বছরের মধ্যে কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ হয়নি। বর্তমান সরকার বিভিন্ন উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারী করে দিয়েছেন। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী এই এলাকায় চা বাগানে প্রাইমারী স্কুল করে দেয়াতে এখন ছাত্রের সংখ্যা বেড়েছে। ছাত্র অনুসারে এ দ্ইু উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা খুবই কম। সরকারী কিংবা বেসরকারী যে কোন উদ্যোগেই এ দুই উপজেলায় অন্তত ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন অতিব জরুরী। এলাকার অভিবাবক হিসেবে এতে প্রধান ভুমিকা নিতে হবে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে।
ময়লার ভাগাড়-
স্বাধীনতার পর থেকে দেশের অন্যান্য যে কোন এলাকার চেয়ে এই দুই উপজেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সাথে সাথে বেড়েছে মানুষের ব্যবহৃত বর্জ্য। আর সে জঞ্জাল জমা করা ও ধংস করার জন্য প্রয়োজন জনবিচ্ছিন্ন এলাকা। শ্রীমঙ্গলে বর্জ্য ফেলা হয় শহরতলীর অভিজাত এলাকা কলেজ রোডে। যেখানে নামকরা স্কুল ও কলেজ, এমনকি সরকারী কলেজ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্টানের মাত্র ২৫ গজের মধ্যে এর অবস্থান, যা অপসারণের দাবী দীর্ঘ দিনের এমনকি এ নিয়ে ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে আসে। রহস্যজনক কারনে শহরের অদুরে খাসজমি ও জনমানবশুন্য এলাকা থাকার পরও কেউ এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। একই সাথে কমলগঞ্জ উপজেলায়ও নেই বর্জ্য অপসারণের পরিবেশ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনায় পর্যটকরা এই এলাকা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা নিয়ে ফেরেন ও জনমনে এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ বিদ্যমান। তাই অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি নিয়ে সংসদ সদস্যের ভুমিকা রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন ন্থানীয়রা।
টি অকশন অনগ্রসর ও একটি মহলের অনীহা –
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপন হয়। একটি মহল বিরুধীতা করে শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র চালু না হওয়ার জন্য। এরপরও নানান চড়াই উৎরাইয়ের পর অর্থমন্ত্রনালয়, বাণিজ্য মন্ত্রনালয় এর সহযোগীতায় চালু হলেও এটিকে চালু রাখার ব্যাপারে ও তার নিরবিচ্ছিন্ন কার্যক্রমে সংসদ সদস্যের ভুমিকা রাখা প্রয়োজন। বিশেষ করে ট্রেণে আসনসংখ্যা বাড়ানো, চট্টগ্রাম -সিলেট রুটে লোকোমোটিভ বাড়ানো বা নতুন ট্রেন সংযোজন ও বিমানবন্দর চালু করাসহ সড়কপথে সরাসরি যাতায়াতের জন্য লাক্সারিয়াস পরিবহন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ট্রমা হসপিটাল- শ্রীমঙ্গলের গাঁ ঘেঁষে রয়েছে বাহুবল থানা, কমলগঞ্জ থানা ও মৌলভীবাজার সদর। প্রতিদিন শত শত গাড়ি নিয়ে অসংখ্য পর্যটক আসেন শ্রীমঙ্গলে। পর্যটকদের যানবাহনে অনাকাঙ্কিত কোন দূর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য বহুদিন ধরে এখানে একটি ট্রমা হসপিটাল স্থাপনের জন্যও দাবী ছিলো শ্রীমঙ্গলবাসীর। যা বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যকে ভুমিকা রাখা প্রয়োজন।
বেকার সমস্যা সমাধানে
এই এলাকায় পর্যটক বান্ধব উন্নয়ন, শিল্প স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংসদ সদস্যকে ভুমিকা রাখতে হবে। এর জন্য এই এলাকায় কারিগরী প্রশিক্ষন কেন্দ্র, পলিটেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্টা করার দাবী এলাকাবাসীর অনেক দিনের। উল্লেখ্য, প্রতিবছর এলাকায় শিক্ষিত জনগণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই তুলনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ নাই বললেই চলে। ফলে, তরুন ও যুব সমাজের মধ্যে চরম হতাশা বিদ্যমান। এ কারনে অনেক তরুন বিপথগামী হয়ে পড়ছে।
রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজস্বার্থ আদায় –
এক শ্রেণীর লোক যারা নিজেদেরকে রাজনৈতিক কর্মী পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার ও প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্থ অংশের সাথে যোগসাজস ও ভাগবাটোয়ারার মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধংস করে দিচ্ছে। এ শ্রেণী সর্বদলীয় একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে পাহাড়কাটা, জমিদখল, অবৈধ চাপাতা, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, গাছ ও কাঠের অবৈধ ব্যবসা, সীমান্তে কাঁটাতার সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে ফসল ইত্যাদি করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির কারন হয়ে উঠছে। তাদের এসব কার্যকলাপ এলাকার জনগণ প্রত্যক্ষ করলেও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। যা মোকাবেলায় সংসদ সদস্যকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা –
চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি সরকারী হাসপাতাল স্থাপনেরও জন্য অনেকদিন ধরেই দাবী জানিয়ে আসছেন শ্রমিকরা। চা শ্রমিকদের জন্য এরশাদ সরকারের সময় একটি হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গল ইউছুবপুর এলাকায়। বিগত বিএনপি সরকারের সময় সে হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষনা করে সেখানে স্থাপিত হয় একটি বালিকা বিদ্যালয়। এর পর থেকে চা শ্রমিকদের জন্য সরকারী বিশেষ কোন হাসপাতাল নেই। এই এলাকার চা শ্রমিকরাও পর্যটনের একটি অংশ। চা শ্রমিকরা চা বাগানে কাজ করে এই এলাকাকে চির সবুজে মোহিত করে রাখেন। তাই চা শ্রমিকদের সুস্থতার জন্য এখানে একটি শ্রমিকবান্ধব হাসপাতাল স্থাপন জরুরী।
অডিটরিয়াম ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মহড়া কক্ষ নির্মান-
সাংস্কৃতিক চর্চায় পৃষ্টপোষকতা ও নাটক করার উপযোগী অডিটরিয়াম স্থাপনের এখানে কয়েকটি অডিটরিয়াম ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মহড়া কক্ষ নির্মান করার দাবী দীর্ঘ দিনের। শ্রীমঙ্গলের অর্ধশতাধিক নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অনুকুল পরিবেশ না পাওয়ায় ঠিকমতো সাংস্কৃতিক চার্চা করতে পারছেন না। অথচ শ্রীমঙ্গলে সাংস্কৃতিক বান্ধব অডিটরিয়াম ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এখানে প্রতিদিন রাতে অনুষ্ঠিত হতে পারে নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যা শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের রাত্রীকালিন অতিরিক্ত বিনোদনের খোড়াক যোগাবে। পাওয়া না পাওয়ার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হলেও এই এলাকার মানুষ তাদের যৌক্তিক এ দাবী বাস্তবায়নের স্বক্ষম এমন প্রার্থীর প্রতি তাদের মত প্রদানের আশ্বাস দেন।
লাউয়াছড়া দখল-
লাউয়াছড়া দখল করে চা বাগান, লেবু বাগানসহ অনান্য ফসল উৎপাদনের ফলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের একমাত্র প্রাকৃতিক বন লাউয়াছড়া সংকীর্ণ হয়ে আসছে। দীর্ঘ দিন ধরে এ প্রক্রিয়া চলে আসছে। লাউয়াছড়ার ভিতরে ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। লাউয়াছড়ার গা ঘেষে এবং দখল করে অনেকে তৈরী করছেন বাংলোবাড়ি। অতি সম্প্রতি লাউয়াছড়ার ভানুগাছ অংশে বনের জমি দখল করে রোপন করা হয় চা বাগান। যা রোপনে বন বিভাগ বাধা প্রদান করলে প্রভাবশালীরা বন বিভাগের উপর বিরাগভাজন হন। যে লাউয়াছড়া দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন এখানে সেই লাউয়াছড়াকে গ্রাস করতে র্নিলজ্জের মতো উঠে পড়ে লেগে আছে ভুমিখেঁকো চক্র। এদের পেছনের মদদদাতাদের সমাজে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে সরকারী জমি ও পরিবেশ রক্ষায় ভুমিকা নিতে হবে সংসদ সদস্যকে। লাউয়াছড়া বনের গাছচুরি রোধে স্থানীয় পর্যায়ে প্রভাবশালী নেতা, চিহ্নিত সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রনে এমপিকে ভুমিকা রাখতে হবে। প্রকৃতির বিরুপ প্রভাব থেকে আমাদের বেঁচে থাকার তাগিদে ওই সকল নেতাদের অবৈধ আয়ের জন্য লাউয়াছড়া বনের গাছ থেকে কু-নজর সরানোর জন্য প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। এতে, এমপির ক্রমহ্রাসমান জনপ্রিয়তা পুনরায় ফিরে আসবে, অবস্থান হবে সংহত, বনবিভাগ যেমন সজাগ দৃষ্টি রেখে চাপবিহীন হয়ে কাজ করতে পারবে তেমনি রাজনৈতিক নেতাদের লেবাসধারী গাছচোররা সর্তক হবে। তাই লাউয়াছড়ায় গাছচুরি রোধে এমপি’কে জোরালো ভুমিকা রাখার দাবী স্থানীয়দের। পরিবেশবিদরা দীর্ঘ দিন ধরে লাউয়াছড়ায় ট্রেন লাইন ও পাকা সড়ক স্থানান্তরের দাবী জানিয়ে আসছেন। প্রতিদিনই কোন না কোন প্রাণী যানবাহন ও ট্রেনের চাকায় পৃষ্ট হয়ে মারা পড়ছে। তা ছাড়া ট্রেন ও যানবাহনের শব্দে বন্যপ্রাণীরা হারাচ্ছে তাদের নিরবিচ্ছিন্ন বসবাসের পরিবেশ। এই দুইটি যোগাযোগ মাধ্যম স্থানান্তরিত করণ বেশ বড় একটি কর্মযজ্ঞ। যার জন্য ওই এলাকার সর্বময় ক্ষমতার ব্যক্তি হিসেবে এর জন্য অগ্রগন্য ভূমিকা সংসদ সদস্যকেই রাখতে হবে।
সমশের নগর রেলওয়ে ষ্টেশন ও শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ষ্টেশনের আসন বৃদ্ধি
জরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলার প্রাচীণতম রেলওয়ে ষ্টেশন সমশের নগর। এই ষ্টেশনটি আধুনিকি করণে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ষ্টেশনে আসন সংখ্যা কম হওয়াতে মারাত্মক দূর্ভোগে পড়েন পর্যটকসহ ওই এলাকার বাসিন্দারা।
নৌপথে বাইক্কা বিল ও হাওর পরিদর্শন
নৌপথে বাইক্কা বিল ও হাওর পরিদর্শনের জন্য শ্রীমঙ্গল সখিনা সিএনজি পাম্পের সামনা দিয়ে প্রবাহিত ফুলছড়া হয়ে বাইক্কা বিল পর্যন্ত লিংক ছড়াগুলো খননের জন্য শ্রীমঙ্গলবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী। যা খনন হলে পর্যটকরা সহজে বাইক্কা বিল যেতে পারবেন এবং নৌপথে হাইল হাওর ঘুরে বেড়াতে পারেন।
দলীয় সম্মেলন- ২০০৪ সালের পর থেকে শ্রীমঙ্গলে আওয়ামীলীগের কোন সম্মেলন হয়নি। এতে উঠে আসেনি নতুন নতুন নেতৃত্ব। অনুুরুপ ভাবে বিএনপিতেও দলীয় কুন্দলে হয়নি শ্রীমঙ্গল উপজেলার মুল কমিটি গঠন। বর্তমানে আছে আহবায়ক কমিটি। যেহেতু এই আসনে বরাবরই আওয়ামীলীগ বিজয় লাভ করে আসছে । এটি আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হিসেবেও খ্যাত তাই আওয়ামী সমর্থকরা মনে করেন সংসদ সদস্যকে ভুমিকা নিয়ে দলীয় সাংগঠনিক নিয়মে সম্মেলন দিয়ে নতুন নেতৃত্ব আসতে সহায়তা করতে হবে।
পাওয়া না পাওয়ার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হলেও আগামী সংসদ নির্বাচনে এই এলাকার মানুষ তাদের যৌক্তিক এ দাবী বাস্তবায়নের স্বক্ষম এমন প্রার্থীর প্রতি মত প্রদানের আস্বাস দেন।
মন্তব্য করুন