কঠোর লকডাউন ১৪ এপ্রিল থেকে : আগের দিন কেনা কাটায় ঈদের ভীর

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার জেলায় বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা, অন্যদিকে আসন্ন রমজান ও কঠোর লকডাউন উপলক্ষে কেনাকাটা করতে মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও মার্কেটগুলোতে চলছে মানুষের উপচেপড়া ভীর।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে মৌলভীবাজারসহ সারা দেশে চলছে লকডাউন। এসময় মার্কেট ও দোকানপাট খোলার সরকারি অনুমতি থাকলেও বার বার স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশনা এবং পরামর্শ দেয়া হলেও কেউ মানছে না এসব। প্রতিদিন মোইলকোর্ট বসিয়ে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানাও করা হচ্ছে অনেক দোকানে। কিন্তু কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না চরম অসতর্ক ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল শহরের এম সাইফুর রহমান রোড, শাহ মোস্তফা সড়ক, কুদরত উল্লাহ রোড, পুরাতন হাসপাতাল সড়ক, চৌহমুহনা এলাকা, শমসেরনগর রোড, কোট রোড, শ্রীমঙ্গল শেরপুর সড়ক, কুসুমবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাপড় ও জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। কোনো কোনো দোকানে তিল ধারণেরও জায়গা নেই। ভিড় করে যেন ঈদের কেনাকাটা করছেন পুরুষ-মহিলা-শিশুসহ সব বয়েসি মানুষ। তাদের বেশিরভাগের মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাভস। মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় মৌলভীবাজারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই উদ্বেগজনক হারে বাড়লেও তাতে যেন এদের কোনো মাথাব্যথা নেই। মাছের বাজারে শারীরিক দূরত্বের তো বালাই নেই।
কাপড় কিনতে আসা এক মহিলা জানালেন, কী হবে এত ভয় করে? লকডাউনের কারণে গত বছর ঈদের সুবিধামতো কেনাকাটা করতে পারিনি। এবারও যদি কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসসে তবে ঠিকমতো ঈদে কেনাকাটা করতে পারবো না। তাই এখনই কেনাকাটা সেরে ফেলছি।
এদিকে এক ব্যবসায়ী বলেন-কী করবো ভাই, করোনার জ্বালা থেকে পেটের জ্বালা বেশি। অবশ্য ক্রেতাদের বার বার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করছি আমরা। কেউ মানে, কেউ মানে না এইতো।
সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী মোঃ জালাল উদ্দিন মোর্শেদ বলেন মৌলভীবাজার জেলায় বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর প্রধান কারণ হলো- জনগণের অসেচতনতা, বাজার-হাট ও দেকানপাট-মার্কেটে জনসমাগম এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানা ইত্যাদি। এখনই মানুষকে সচেতন না হলে এর চড়া জন্য মূল্য দিতে হবে।
মন্তব্য করুন