কমলগঞ্জে ধলাই নদীর প্রতি রক্ষা বাঁধের ২৬ স্থানে ধস

July 8, 2024,

স্টাফ রিপোর্টার॥ কমলগঞ্জ অংশে ধলাই নদীর ৫৭ কিঃ মিঃ বেরি  বাঁধের ২৬ স্থানে বাঁধ ধসে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধের এখন নাজুক অবস্থা।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, প্রতিরক্ষা বাঁধের কমলগঞ্জ পৌরসভা অংশের পাঁচটি স্থান খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গোপালনগর কুমড়া কাঁপন রামপাশা, আলেপুর এবং নরেন্দ্রপুর। এর মধ্যে রামপাশায় এলাকায়  প্রায় ২০০ মিটার জুড়ে বাঁধে ধস  পড়েছে। বৃষ্টি হলেই পুরো বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে।

অন্যদিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন গোলেরহাওর মোকাবিল  ও শ্রীপর। আদমপুর ইউনিয়নের হকতিয়ারখোলা, তিলকপুর,ঘোড়ামারা, বনগাঁও ও কেয়ালীঘাট,সদর ইউনিয়নের চৈতণ্যগঞ্জ নারায়ণপুর ও রামপুর, মাধবপুর ইউনিয়নের হিরামতি ও পাত্রখোলা, বর্তমানে বৃষ্টি  না থাকায়  নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি  কমতে শুরু করার সাথে সাথে বাঁধে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। গত দুই দিনে বাঁধের অনেক জায়গায় ধস শুরু হয়েছে। পৌরসভার পাঁচটি স্থানসহ উপজেলার অন্তত ২৬টি স্থানে বাঁধ ধসে গিয়ে বুঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ধস হওয়া স্থানগুলোতে বাঁধের মাত্র দুই থেকে তিন  ফুট বাকি রয়েছে। আবারও  ভারী বৃষ্টি হলে এসব স্থানে বাঁধ ভেঙে গিয়ে নদীর পানি ঢুকে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। পৌর এলাকার রামপাশা গ্রামে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০০ ফুট অংশ ভেঙে পড়েছে নদীতে। সেখানে এক ফুট পরিমাণ বাঁধ টিকে আছে। এ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পাঁচটি পরিবার রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিতে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস কারি রফিক মিয়া জানান আবারও নদীতে পানি বাড়লে পুরো বাঁধটি নদীতে চলে যাবে। দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি জানান তিনি।

এছাড়াও মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সুরানন্দপুর, বাদে করিমপুর, খুশালপুর ও লক্ষ্মীপুর। রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়কুট, ধর্ম গ্রামের মসজিদের পাশে নাজুক অবস্থা প্রায় পনেরোটি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে,চৈত্রঘাট ও কালেঙ্গা এই ২০ টি স্থানে নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব স্থানে বাঁধ ভেঙে বর্তমানে এক থেকে দুই ফুট পরিমাণ মাটি আছে। চৈত্রঘাট এলাকায় গত ১৯ জুন এর বন্যায় বাঁধ ভেঙে কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়। সেখানে বর্তমানে  বাধ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। ফের ভারী বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি। ঢলে বাঁধ আটকানো সম্ভব হবে না।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল বলেন, বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। বাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ধলাই নদীর বাঁধগুলো পুরনো। অনেক স্থানে বাঁধের অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সব ঝুঁকিপূর্ণ অংশের তালিকা করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই বাঁধের কাজ শুরু হবে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com