করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে নিয়ে আতঙ্কিত মৌলভীবাজারবাসী

May 18, 2021,

স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলাই ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা। বিশাল সীমান্ত এলাকায় বৈধ পথে প্রবেশের চেক পোষ্ট দুটি থাকলেও চোরাই পথে যোগাযোগ রয়েছে বেশ কিছু পয়েন্টে। তাই করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন পূরো জেলাবাসী।
কুলাউড়া থানার এসআই জসীম আহমদ ১৮ মে দুপুরে জানান, কুলাউড়া উপজেলার নাচনী গ্রামের স্বপন দেবনাথ গত দু’সপ্তাহ আগে ভারত থেকে ফিরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে সিলেটের খাদিমপাড়া ৩১ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আক্তারুজ্জামান মঙ্গলবার জানান, উপজেলায় ২১ জানুয়ারি থেকে ৫৭জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কুলাউড়ায় ১৭ মে সোমবার নতুন করে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন তারা হলেন লস্করপুর গ্রামের ইন্তাজ আলী, মনসুর গ্রামের জাহেদ হাসান, কুলাউড়া গ্রামের বিজিত দে ও চম্পা রানী দে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর করোনা সংক্রমণ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও ত্রিপুরার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর এইসব রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর হারও দিনদিনই বাড়ছে। করোনা মহামারি এখন পূর্ব দিকে এগোচ্ছে বলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক বার্তা জারি করেছে।
ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা এই দু’রাজ্যের সাথে মৌলভীবাজার জেলার ১৪টি সীমান্ত ফাঁড়ি রয়েছে। তাই জেলাজুড়ে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জেলার সিভিল সার্জন দপ্তরের সূত্র জানা যায়, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাতে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ।
জুড়ীর ফুলতলা সীমান্ত এলাকার বীরেন্দ্র দেব, আরমান আলী জানান, আমরা আতঙ্কে আছি। সীমান্ত বন্ধ করা হলেও চোরাইপথে লোকজন আসা যাওয়া করতে পারে। বিজিবিসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় মানুষদের সচেতন করা প্রয়োজন।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, জেলার প্রতিটি সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে বিজিবি’র কঠোর নজরদারী রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com