কুলাউড়ায় মসজিদ সম্প্রসারণে বাধা দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অপপ্রচার-জামান

September 29, 2024,

এইচ ডি রুবেল : কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাটগাঁও জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের নামে এক প্রতিবাদ সভায় মসজিদ সম্প্রসারণে বাধা, টাকা আত্মসাৎ ও জায়গা দখলসহ মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম. এস জামান লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সহিত আমি এই দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার পিতা আলহাজ আব্দুস শুকুর পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। আমি এবং আমার আরেক ভাই শিক্ষকতা পেশায় রয়েছি। আমার আরও দুই ভাই ও মা-বাবা দেশের বাইরে থাকেন। আমাকে এবং আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে দক্ষিণ ভাটগাঁও জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই নুরুল ইসলাম সিকন, ছেলে মনিরুল ইসলাম তানিম, ভাতিজা সামসুল আরেফিন কামাল ও সুমেল আরেফিন গংরা আমার বিরুদ্ধে মসজিদ সম্প্রসারণে বাধা ও মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত ২১ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ভাঁটগাও জামে মসজিদের সামনে মানববন্ধনের নামে প্রতিবাদ সভা করেন। ওই সভায় শুধু তাদের পরিবারের লোকজনসহ তাদের দোকানের কর্মচারী ও ভাড়া করা কিছু লোক উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, মসজিদ সম্প্রসারণ কাজে বাধা দেওয়ার মতো অনৈতিক কাজ আমার পরিবার আমাকে শিক্ষা দেয়নি। মসজিদের ভিতরে মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মসজিদ সম্প্রসারণ কাজ হবে। মসজিদের ইমামের বেতন ব্যাংকের হিসাব শাখার মাধ্যমে দেওয়া হয়। এখানকার যাবতীয় কিছু দেখভাল করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি। এখানে ব্যক্তিগতভাবে আমার বাধা দেওয়ার কিছু নেই।।আমি কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যক্তির নাম ভাঙিয়ে কোনো কাজ করেছি বলে কেউ প্রমাণ দেখাতে পারবে না। তাছাড়া আমি কিংবা আমার পরিবারের কোনো সদস্য কোনোদিন কারও বিরুদ্ধে হামলা-মামলার সাথে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও গংরা আমাকে এবং আমার পেশাকে কলুষিত করতে মানববন্ধনের নামে প্রতিবাদ সভায় আমাকে মামলার আসামি ও দলিলদাতা হিসেবে আখ্যায়িত করে মিথ্যাচার চালিয়েছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রকৃতপক্ষে আমি কোনো মামলার আসামি নয় এমনকি দলিল দাতা নয়।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে শামসুল আরেফিন কামালের প্ররোচনায় তিনি নিজে কমিটির সম্পাদক, তার চাচা আব্দুর রাজ্জাক সভাপতি, ছোট চাচা নুরুল ইসলাম সিকন সহসভাপতি এবং রিয়াজ উল্যাকে কোষাধ্যক্ষ করে পারিবারিক কমিটি গঠন করা হয়। যদিও কথিত ওই কমিটি ২০২০ সালে গঠন করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

তাছাড়া বিভিন্ন মুসল্লিগণের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণার জন্য পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়। কথিত সভাপতি ও সম্পাদক তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশে মসজিদে প্রভাব বিস্তার করতে তাদের গোত্রের সন্ত্রাসীদের দিয়ে মসজিদে ঈদের জামাতে বাধা, ইমাম তাড়ানো ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়। এতে মুসল্লিগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসি বরাবরে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মো: রমজান আলী, সহসভাপতি মাসুক মিয়া, সহসম্পাদক মো: আলাউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ কায়েদ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জামাল মিয়া, প্রচার সম্পাদক মো: মাহমুদ আলী ও সহ-প্রচার সম্পাদক মো: আরজান উল্লা প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com