কুলাউড়ায় শ্রমিকনেতা আবুল কালাম আজাদ-এর শোকসভা অনুষ্ঠিত মহান মে দিবসে বেতনসহ ছুটি ও ৮ ঘন্টা কর্মদিবসসহ শ্রমআইন বাস্তবায়নের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ২৩০৫-এর উপদেষ্ঠা, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্ট-১৯৩৩ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ নং বি-২০৩৭ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ সিলেট জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক সাম্রাজ্যবাদ সামন্তবাদ আমলা মুৎসুদ্দি পুঁজি বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রসৈনিক শ্রমিকনেতা আবুল কালাম আজাদ-এর অকাল মৃত্যুতে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কুলাউড়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শোকসভা থেকে মহান মে দিবসে বেতনসহ ছুটি ও ৮ ঘন্টা কর্মদিবস, সহ শ্রমআইন বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। ২১ এপ্রিল শুক্রবার প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে হোটেল শ্রমিকরা কুলাউড়া ডাক বাংলো মাঠে সমবেত হয়ে প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ-এর প্রতি শ্রদ্ধা ও নব উদ্যোমে আন্দোলন সংগ্রামের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ডাক বাংলো মাঠে অনুষ্টিত এই শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কুলাউড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন। প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ-এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে শোকসভার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশিক খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেক মিয়া। এছাড়াও শোকসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৌলভীভাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৪৫৩এর সভাপতি মোঃ সোহেল আহমেদ ও চা-শ্রমিক সংঘের নেতা রাজদেও কৈরী প্রমূখ। শোকসভায় বক্তারা বলে ৩ মার্চ দূরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ আমৃত্যু হোটেল শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। এমনি কি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরও যতদিন সচল ছিলেন ততদিন সংগঠনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। মহান মে স্ববেতনে সর্বাত্মক ছুটি কার্যকর, হোটেল সেক্টরে সরকার কর্তৃক নি¤œতম মজুরি ঘোষণা, রমজান মাসে বিনা বেতনে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, ঈদ উৎসব বোনাস আদায়, বেআইনী ছাঁটাই বন্ধসহ তাঁর নেতৃত্বে সিলেট বিভাগে অসংখ্য আন্দোলন সংগ্রামে হোটেল শ্রমিকরা দাবি আদায় করতে সমর্থ হয়। এছাড়াও অনেক স্থানীয় ও জাতীয় আন্দোলন সংগ্রামে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে গেছেন। তাঁর অসমাপ্ত সংগ্রাম অগ্রসর করে নেওয়ার দায়িত্ব তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে আমাদের পালন করতে হবে।
সভা থেকে মহান মে দিবসে স্ববেতনে ছুটি, বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ নি¤œতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা ঘোষণা, সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরির গেজেট কার্যকর, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু, ৮ ঘন্টা কর্ম দিবস, নিয়োগ পত্র, পরিচয় পত্রসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন করার দাবি জানানো হয়।
মন্তব্য করুন