চতুর্থবারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ এএসআই কুলাউড়া থানার রুমান

May 14, 2024,

মাহফুজ শাকিল॥  মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে চতুর্থবারের মত  জেলার শ্রেষ্ঠ এএসআই (এপ্রিল মাসের) নির্বাচিত হয়েছেন কুলাউড়া থানার মো: রুমান মিয়া। তিনি জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামীলকারী অফিসার হিসেবে এই স্বীকৃতি পান। এর আগে তিনি তিনবার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছিলেন।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার কর্তৃক পুরস্কার প্রদানের অভিন্ন মানদন্ডের আলোকে গত এপ্রিল মাসের জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামীলকারী অফিসার হিসেবে তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে ভূষিত হন।

সোমবার ১৩ সকালে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনস্ ড্রিল শেডে অনুষ্ঠিত কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: আজমল হোসেনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার)।

মাসিক অপরাধ সভায় মৌলভীবাজার জেলার থানা ও পুলিশ সদস্যদের কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পুরস্কারের অভিন্ন মানদন্ডের আলোকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে তামীলকারী অফিসার হিসেবে

শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী কুলাউড়া থানার এএস আই মো: রুমান মিয়ার হাতে পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) ক্রেস্ট ও ধন্যবাদপত্র তুলে দেন।

কল্যাণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদর্শন কুমার রায় (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) মোহসিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সারোআর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) দীপংকর ঘোষ, সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আনিসুর রহমান এবং মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও থানার অফিসার ইনচার্জগণ।

শ্রেষ্ঠ এএসআই রুমান মিয়া বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) দীপঙ্কর ঘোষ স্যার, থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী মাহমুদ পিপিএম স্যারের নেতৃত্বে, মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা, চোলাই মদ ও ফেন্সিডিলসহ মাদক দ্রব্য উদ্ধার, অধিক হারে ওয়ারেন্ট তামিল, নারী নির্যাতন ও ইভটিজিং রোধ, চুরি-ডাকাতি রোধসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য আমাকে এপ্রিল মাসে জেলার শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার এ অর্জনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার মো.মনজুর রহমান স্যারের ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী মাহমুদ স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার এ অর্জনে থানার সকল অফিসার ও সদস্যদের অকুণ্ঠ সহযোগিতা ছিল। গত এপ্রিল মাসে সাজা এবং ওয়ারেন্ট সহ অনেক মামলা নিষ্পত্তি হয়। এছাড়া মাদক উদ্ধার, বিট পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত ছিলো।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com