জুড়ীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি॥ জুড়ী উপজেলায় শ্রমিকদের সই জাল করে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির একটি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৪ আগস্ট রোববার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সরেজমিনে এ অভিযোগ তদন্ত করেছেন। পিআইওর কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচির (দ্বিতীয় পর্যায়) আওতায় উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদপুর গ্রামের কেজি স্কুল থেকে আবদুল বারিকের বাড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা সংস্কারের একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। এতে ৪০ জন শ্রমিকের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। ২৮ জন শ্রমিক ৮আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলেন, ইউপির ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য রোশনা বেগম গত এপ্রিলে ‘সামনে একটি কাজ আছে’ বলে তাঁদের কাছ থেকে ব্যাংকের হিসাব কার্ড ও চেক বই নেন। কিন্তু তাঁদের আর কাজ দেওয়া হয়নি। পরে শ্রমিকেরা জানতে পারেন, চেকে তাঁদের সই জাল করে রোশনা বেগম ব্যাংক থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে ইউএনও পিআইওকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পিআইও শিমুল আলী অভিযোগকারী শ্রমিক, ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য শুনেন। তদন্ত চলাকালে স্থানীয় হান্নান মিয়া নামের এক ব্যক্তি পিআইওকে বলেন, ইউপি সদস্য রোশনা ৩০ হাজার ২০০ টাকার চুক্তিতে তাঁকে দিয়ে প্রকল্পের রাস্তায় কিছু মাটি ভরাটের কাজ করান।
প্রকল্প কমিটির সভাপতি বাহাদুরপুর হাফিজিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমি নামেই সভাপতি। প্রকল্পের শ্রমিক কারা, কাজ কতটুকু হয়েছে, কিছুই জানি না। ইউপি সদস্য রোশনা বেগম শুধু কাগজে আমার স্বাক্ষর নিয়েছেন।’
টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য রোশনা বেগম বলেন, অতিদরিদ্রদের দিয়েই তিনি প্রকল্পের কাজ করিয়েছেন।
পিআইও শিমুল আলী বলেন, প্রকল্পের কিছু কাজ হয়েছে। তবে তিনি শ্রমিকদের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন