জুড়ীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা

June 5, 2017,

বিশেষ প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ৩ জুন শনিবার রাতে জুড়ী থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হারুন মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার, ছাত্রীর স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই মেয়েটির বাবা দিনমজুর। মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। হারুন তাদের প্রতিবেশী। শনিবার বিকেল চারটার দিকে ছাত্রীর মা তাকে হারুনের বসতঘরের পেছনে চরানো ছাগল আনতে পাঠান। ছাগল নিয়ে ফেরার সময় হারুন মেয়েটির মুখ চেপে ধরে ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় হারুনের স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। এদিকে বেশ কিছু সময় ধরে বাড়ি না ফেরায় ছাত্রীর খোঁজে তার মা বের হন। হারুনের ঘরের কাছে গিয়ে ভেতর থেকে চিৎকার শুনে তাঁর সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে ঘরে ঢুকে হারুনকে তাঁর মেয়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে দেখে আঁতকে ওঠেন। এ অবস্থায় মেয়েকে নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যান। বিকেলে মেয়েটির পরিবার ঘটনাটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানায়। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চলে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিষয়টি জেনে ওই দিন রাতে ছাত্রীর স্বজনদের থানায় পাঠান। ওই দিন দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ছাত্রীর মা (৩৫) বাদী হয়ে হারুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাতেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন ৪জুন রোববার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। হারুনকে মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হবে। এ ছাড়া জবানবন্দি গ্রহণের জন্য ছাত্রীকেও আদালতে পাঠানো হবে।

থানাহাজতে থাকা হারুন মিয়া তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে তাঁর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে তাঁকে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com