পণ্য বাকিতে না দেওয়ায় কমলগঞ্জে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা ॥ নগদ অর্থসহ মালামাল লুট
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাকিতে পণ্য বিক্রি না করায় এক ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ৯ মে রাত সাড়ে ১১টায় আলীনগর ইউনিয়নের সুনছড়া বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত ব্যবসায়ী কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় আলীনগর ইউনিয়নের সুনছড়া বাজারের সুবর্ণা লাইব্রেরী এন্ড ডিজিটাল স্টুডিওতে একই ইউনিয়নের চিৎলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী উমেদ মিয়া (৪২)সহ অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি চহিদামত বিভিন্ন প্রকার পণ্য সামগ্রী কিনে টাকা না দিয়ে চলে যেতে চায়। ব্যবসায়ী অনুকুল দেবনাথ (৩৪) বাকিতে কোন সামগ্রী বিক্রি করবেন না বলে জানিয়ে সামগ্রীর মূল্য দিতে বলেন। তখনই উমেদ মিয়া তর্কবিতর্ক করে এক পর্যায়ে সাথে রাখা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দোকানী অনুকুল দেবনাথের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ব্যবসায়ীর কপালে ও দুই হাতে রক্তাক্ত জখম হয়। হামলাকারীরা দোকানের ক্যাশবাক্সে রক্ষিত নগদ ৮ হাজার ৩০০ টাকা, ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ডিজিটাল ক্যামেরাসহ প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। আহত ব্যবসায়ীর আত্মচিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে দ্রুত হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রাতেই আহত ব্যবসায়ীকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে অভিযুক্ত উমেদ মিয়াকে পাওয়া যায়নি। তবে আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এর আগেও উমেদ মিয়ার হাতে ইউপি সদস্য সুকুমার দেবনাথ সহ অনেকেই হামলার শিকার হয়েছিলেন। তার উপর কমলগঞ্জ থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার একাধিক মামলাও রয়েছে। তাছাড়া সুনছড়া বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা তাকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। তার ভয়ে এলাকার নিরীহ লোকজন সব সময় আতংকিত থাকেন। তিনি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মিনহাজ উদ্দীন সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবসায়ী অনুকুল দেবনাথ চিকিৎসাধীন থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তার কপালে ও দুই হাতে বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়।
কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো: নজরুল ইসলাম ব্যবসায়ী হামলার শিকার ও মালামাল লুটের অভিযোগ গ্রহনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তক্রমে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মন্তব্য করুন