পর্যটক হারাচ্ছে মনু ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সড়কের বেহাল দশা

September 23, 2018,

স্টাফ রিপোর্টার॥ দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কার না হওয়ায় মৌলভীবাজার জেলা সদরের কাছে পর্যটন কেন্দ্র মনু ব্যারেজে যাতায়াতের মূল সড়কটির অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে কমছে দর্শনার্থীর সংখ্যা।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ জানায় ৮৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই মনু ব্যারেজটি ৮টি গেইট নিয়ে ১৯৮২ সালে নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে পর্যটকদের কাছে। বিকেল হলেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মনু নদীর নয়নাভিরাম জলদৃশ্য উপভোগ করতে। মনু ব্যারেজের অন্য পাশে রয়েছে একটি লেক। সেই লেকের এক প্রান্তে ড্রীমস শিশু পার্ক নামে একটি পার্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু গেলো বছরের বন্যার কারনে মনু ব্যারেজের সড়কটির অবস্থা হয়েছে বেহাল। যার ফলে এই খানাখন্দ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল না করায় বিপাকে পড়ছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দর্শনার্থীরা। যে কারনে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে চাঁদনীঘাট হয়ে আরো দুই কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে মৌলভীবাজার শহরের আকর্ষনীয় এই স্থানটিতে। এ কারনে দিন দিন পর্যটক হারাচ্ছে মনু ব্যারেজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাতারকাপন চক্ষু হাসপাতালের সামনের মূল সড়ক থেকে মনুব্যারেজ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার পাকা রাস্থাটি দীর্ঘদিন যাবত খানাখন্দ হয়ে আছে। আর একটু বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে হয়ে যায় একেকটি ছোট পুকুর।

স্থানীয়দের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে পর্যটক শুণ্য হতে চলছে আকর্ষনীয় এই মনু ব্যারেজটি।

মনু ব্যারেজে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা আব্দুল হাকিম বলেন, মনু ব্যারেজের রাস্থার যে অবস্থা চৌমুহনা থেকে টমটম যেতে চায় না। চাদনীঘাট হয়ে মনু ব্যারেজে ঘুরাতে আসলাম দুইশত টাকা দিয়ে টমটম রিজার্ভ করে।

স্থানীয় আব্দুল আহাদ বলেন, অচিরেই যদি রাস্তাটি সংস্কার করা না হয় তাহলে হারিয়ে যাবে এই পর্যটন কেন্দ্রটি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কারে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

টমটম চালক রফিক মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে গাড়ী চালাতে মন চায়না। এই ভাঙ্গাচোরা রাস্তার কারনে গাড়ি বার বার নষ্ট হচ্ছে।

মনু ব্যারেজ সড়ক সংস্কারের এই ধীরগতির কারন জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো),নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, ভয়াবহ বন্যায় যে বাধঁগুলো ভেঙ্গেছে এই বাধ মেরামতের যে বরাদ্দ সেটিই পর্যাপ্ত না। পানি উন্নয়ন বোর্ড কিন্তু এখন আর রাস্তা মেরামতের কাজ করেনি আগে একসময় করতো এখন এলজিইডি আওতায়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কাছে বিষয়টি উত্তাপন করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com