পৌষ সংক্রান্তির ‘মাছের হাটে’ ৫০ কেজির বাঘাইড় বিক্রি ৫৫ হাজারে

বিকুল চক্রবর্তী॥ পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে মৌলভীবাজারে তিনদিনের মাছের হাট শেষ হয়েছে শুক্রবার; এ হাটের বড় আকর্ষণ ছিল প্রায় ৫০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ। মাছটি বিক্রি হয়েছে ৫৫ হাজার টাকায়।
প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে জেলার শেরপুরে বিশাল মাছের মেলা বসলেও মহামারী পরিস্থিতিতে গত দুই বছর তা বন্ধ ছিল। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় এ বছরও মাছের মেলা আয়োজন নিষিদ্ধ হয়। তাই এ বছর জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট পরিসরে মাছের হাট বসান মাছ ব্যবসায়ীরা।
বুধবার রাত থেকে হাট শুরু হয়। মৌলভীবাজার সদর, কমলগঞ্জ, শেরপুর ও শ্রীমঙ্গলসহ একাধিক স্থানে বসা এসব হাটে রুই কাতলা, চিতল, বোয়াল, বাঘাইড়, কালি বাউশ ও আইরসহ নানা ধরনের মাছ বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার সরজমিনে দেখা যায়, জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার নতুন বাজারে মাছ ব্যবসায়ীরা বড় বড় মাছের ডালা সাজিয়ে বসেছিলেন। প্রায় ৫০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ মেলায় তুলেছেন ব্যবসায়ী মফিজ মিয়া; যার দাম হেঁকেছেন ৬০ হাজার টাকা। বিশাল আকৃতির ওই মাছ দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করেন মফিজ মিয়ার দোকানের সামনে। পরে মাছটি ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন মফিজ মিয়া।
আব্দুল মালিক নামের আরেক ব্যবসায়ী ১৯ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছের দাম হেঁকেছিলেন ৪০ হাজার টাকা। পরে মাছটি তিনি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
মাছ বিক্রেতা করিম মিয়া বলেন, “এবার প্রচুর মাছের আমদানি হয়েছে। কিন্তু ক্রেতার চেয়ে দর্শকের সংখ্যাই বেশি। অনেকে কিনতে আসেন; অনেকে আসেন বড় মাছ দেখতে। তবে মানুষের ভিড় হলেও ভাল লাগে।”
শ্রীমঙ্গল সবুজ বাগ এলাকার গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী জানান, এই মেলা থেকে অনেকে বড় বড় মাছ কিনে আত্মীয় স্বজনদের উপহার দেন। এর মধ্যে দিয়ে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সৃষ্টি করে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, পৌষ সংক্রান্তির উপলক্ষ্যে মাছের হাট এ অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই মাছের মেলায় মৎস্য ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা করে বড় মাছ আনেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় এ বছর মেলা নিষিদ্ধ ছিল। তাই ব্যবসায়ীরা হাটে মাছ তুলেছেন এবং ক্রেতারা ক্রয়ও করেছেন।
মন্তব্য করুন