বড়লেখায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

November 26, 2022,

আব্দুর রব॥ বড়লেখা উপজেলার করমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রবের বিরুদ্ধে স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামতের ২ লাখ টাকা বরাদ্দ ব্যয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে স্কুল ব্যবস্থাপনার কমিটির ভূমিদাতা সদস্য কবির আহমদ গত ৩ নভেম্বর ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-৪ এর আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার নির্বাচিত অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে করমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। চলতি বছরের ৩০জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে মেরামত কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা থাকলেও টাকা উত্তোলন করেও ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব কোন কাজ করেননি।

এমনকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদেরকেও সরকারি বরাদ্দের বিষয়টি অবগত করেননি। ভ্যাট ও আয়কর কেটে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব ইচ্ছা মাফিক যত সামান্য সংস্কার কাজ করেছেন।

সরেজমিনে গেলে অভিযোগকারী স্কুল কমিটির দাতা সদস্য কবির আহমদ, কয়েকজন সাধারণ সদস্য ও স্কুলের পাশ্ববর্তী বাসিন্দারা জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়ম অনুযায়ী কমিটির মিটিংয়ে কোন ধরনের রেজ্যুলেশন না করেই কাউকে কিছু না জানিয়ে স্কুল ভবনে সামান্য রঙের কাজ করেছেন। বরাদ্দের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পেয়েছেন। এ টাকায় তিনি রঙের কাজ করেছেন।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন প্রধান শিক্ষক গত ২২ আগষ্ট বড়লেখা পৌরশহরের একটি রঙের দোকান থেকে ২১ হাজার ৭৬০ টাকার কালার কিনেন। মিস্ত্রি বাবত সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হতে পারে। সব মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকার বেশি কাজ হবে না। বরাদ্দের বাকি টাকা তিনি নয়-ছয় করেছেন।

এছাড়া আগের বছরের স্লিপ ও ওয়াসব্লক বরাদ্দের টাকাও তিনি সঠিকভাবে স্কুলের কাজে ব্যবহার করেননি। কাজের হিসাব জানতে চাইলে পাশ কাটিয়ে যান।

এব্যাপারে বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা সদরে সমন্বয় সভায় রয়েছেন জানিয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। শুক্রবার ও শনিবার কয়েক দফা ফোন দিলে রিং বাজলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ জানান, প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিরুদ্ধে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন দাতা সদস্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এব্যাপারে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com