বড়লেখায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আয়া প্রার্থীর দরখাস্ত গ্রহণ না করার অভিযোগ

আব্দুর রব॥ বড়লেখার সুজাউল সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফয়জুর রহমানের বিরুদ্ধে আয়া প্রার্থীর দরখাস্ত গ্রহণ না করার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে আয়া পদপ্রার্থীর বাবা আয়াজ আলী ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত তদন্তে জোরপুর্বক স্বাক্ষর আদায়ের অভিযোগ আবেদনকারীর।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুজাউল সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় আয়া পদে ৬ আগষ্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফয়জুর রহমান। বিজ্ঞপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করার ঘোষণায় অত্র মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত দপ্তরী আয়াজ আলীর মেয়ে ফাতিমা বেগম দরখাস্ত প্রস্তত করেন। ১৭ আগষ্ট তার বাবা আয়াজ আলী দরখাস্ত জমা দিতে গেলে অধ্যক্ষের নির্দেশে অফিস সহকারী আব্দুস শাকুর তা গ্রহণ করেননি।
আয়াজ আলী অভিযোগ করেন নিয়োগ বাণিজ্য করতে অধ্যক্ষ তার মেয়ের দরখাস্ত গ্রহণ করেননি। ১৭ আগষ্ট দরখাস্ত জমা দেয়ার সময় মাদ্রাসার অনেক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সাবেক ইউপি মেম্বার আমির আলী সাহেবকে দিয়ে খামে ঠিকানা লিখে নেই। উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের শরনাপন্ন হলে তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষ তোমার মেয়ের দরখাস্ত নিতে নিষেধ করেছেন।’ স্থানীয় সুত্র জানায় অধ্যক্ষ বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গোপন চুক্তিতে আগেই মাদ্রাসার আয়া, গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদের লোক নির্ধারণ করে রেখেছেন। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আইওয়াস মাত্র।
এদিকে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ করায় তাকে না জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঘটনার তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যক্ষ তাকে খবর দিয়ে মাদ্রাসায় নিয়ে আটকে রাখেন। অভিযোগ প্রমাণের সুযোগ না দিয়ে খন্ডকালিন শিক্ষক এজাজুর রহমান, নাইটগার্ড খলিলুর রহমান ও ঝাড়ুদার মজনুল ইসলামকে দিয়ে জোরপুর্বক স্বাক্ষর আদায় করেন।
অধ্যক্ষ ফয়জুর রহমান জানান, নির্ধারিত সময়ের পর দরখাস্ত নিয়ে আসায় তিনি আয়াজ আলীর মেয়ের আবেদন গ্রহণ করেননি। তদন্তে জোরপুর্বক স্বাক্ষর আদায়ের অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।
৪ অক্টোবর রোববার রাতে সাবেক ইউপি মেম্বার আমির আলী জানান, পত্রিকা বিজ্ঞপ্তিতে ২০ আগষ্টের মধ্যে দরখাস্ত জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ১৭ আগষ্ট আয়াজ আলী যে দরখাস্ত জমা দিতে গিয়েছেন তার স্বাক্ষী তিনি নিজেই। ওই দিন তিনি আয়া প্রার্থী ফাতিমা বেগমের দরখাস্তের খামের ঠিকানা লিখে দেন এবং প্রিন্সিপালকে আবেদনপত্রটি গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম জানান, ইউএনও’র নির্দেশে তিনি একাডেমিক সুপারভাইজারকে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেন। অভিযোগ প্রমাণের দায়িত্ব যেমন অভিযোগকারীর, ঠিক তেমনি তাকে সুযোগ দেয়ার দায়িত্ব অধ্যক্ষ ও তদন্ত কর্মকর্তার। খোজ নিয়ে তিনি এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
মন্তব্য করুন