ভাই আসছেন আজ জুড়ীতে-নজরে পড়তে ছাত্রলীগ নেতাদের তোরণ নির্মাণের প্রতিযোগিতা

বিশেষ প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটির গঠনের প্রথম বার্ষিকী ছিলো ২৬ জুলাই। এই এক বছরের মধ্যে তিনি যে জুড়ীতে প্রথম আসছেন তা নয়, ভাই এর আগেও কমপক্ষে ৩ বার এসেছেন। কিন্তু তখন কেউ তোরণ নির্মাণ করেননি। ২৯ জুলাই শুক্রবারে ভাই উনার বড় ভাইয়ের বৌভাতে আসছেন। তাই কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর ও জুড়ী উপজেলাতে তোরণ নির্মাণের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় নতুন কমিটি হবে ছাত্রলীগের। তাই ভাইয়ের নজর কাড়তে এই আয়োজন পদ-পদবী পেতে আগ্রহী নেতাদের। এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ জীবন রহমানের পক্ষ থেকে ৫টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার ছিলো ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসাইনের বড় ভাই মোঃ তোফায়েল আহমদের বিয়ে। বৌভাত আজ শুক্রবার নিজ বাড়ী মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে। ভাইয়ের বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসাইন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগকে নিয়ে আসছেন নিজ বাড়ীতে। সড়ক পথে এই দুই নেতা যাবেন জুড়ীতে। খবরটি চাউর হবার পর জেলার শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এই দুই ছাত্রনেতার বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদকের নজর কাড়তে তোরণ নির্মাণ শুরু করেন। বিশেষ করে কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কুলাউড়া উপজেলায় ১৮টি এবং জুড়ী উপজেলায় ১৬টি তোরণ নির্মিত হয়েছে। আরও নির্মাণ কাজ চলছে। জেলা ৫ উপজেলায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তোরণের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যাবে বলে জানা গেছে।
এই তোরণ নির্মাণের নেপথ্য কারণ হলো কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ২-৪ দিনের মধ্যেই ঘোষিত হবে। ফলে নেতাদের নজর কাড়তেই এই তোরণ নির্মাণের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এই দুটি উপজেলায় সাজ সাজ রব শুরু হয়েছে। অবশ্য কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসাইন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর পৌর নির্বাচনী প্রচারণায় এবং এরপরে আরও দু’বার নিজ কুলাউড়া ও জুড়ীতে এসেছেন। কিন্তু তখন কেউ তোরণ নির্মাণ করেননি। ছাত্রলীগের পদ পেতে ভাইয়ের নজর কাড়তে কিছু অতিউৎসাহী নেতা এই তোরণ নির্মাণ করছেন বলে ছাত্রলীগের তৃণমূল নেতারা জানান।
মন্তব্য করুন