মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলেন চার সাংবাদিক : বেপরোয়া হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস ঢাকা মেট্রো ভ ১১-০৩৬৮ এর কারণে অল্পের জন্য মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন শ্রীমঙ্গলের চার সাংবাদিক।
বুধবার ৩০ শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শহরতলীর বিলাশের পাড় এলাকায় বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে কোনপ্রকার সংকেত না দিয়েই সিএনজির পেছন থেকে এসে চাপা দেয়ার চেষ্টা করে বাসটি। এতে করে সিএনজির চালক মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে সিএনজিটি নিয়ে রাস্তার পাশের জমিতে গিয়ে পড়ে। এতে করে ঐ সিএনজিতে থাকা চার সাংবাদিক সহ ছয় জনেই শারীরিক ভাবে কিছুটা আঘাত প্রাপ্ত হন। তবে শারীরিক ভাবে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হন আল ইব্রাহিম নামে এক সাংবাদিক। পরে তাকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং তার প্রেসক্রিপশনে পুলিশ কেইস লিখে দেন। আর এ বিষয়ে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের শ্রীমঙ্গল অফিসে অভিযোগ করলে তখন কর্তব্যরত কাউন্টার ম্যানেজার কোন প্রকার প্রদক্ষেপ না নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাসটি ও চালককে ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করতে সহযোগিতা করেন। এ বিষয়ে উক্ত সাংবাদিকরা শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বলে জানাজায়। সিএনজিতে করে মির্জাপুর ইউনিয়নে গুরুত্ব পূর্ণ সংবাদ সংগ্রহ করে শ্রীমঙ্গল ফেরার পথে ছিলেন দৈনিক কালজয়ী ও দৈনিক স্বাধীন সকাল পত্রিকার উপ সম্পাদক কে এস এম আরিফুল ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলোর শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রতিনিধি শিমুল তরফদার, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রতিনিধি আল ইব্রাহিম, দৈনিক সিলেট প্রেসের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রতিনিধি রাজেশ ভৌমিক, লতা সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক নুরুজ্জামান ও সিএনজি চালক আকাশ দোষাদ।
মন্তব্য করুন