মৌলভীবাজারে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের মিছিল ও সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার॥ মহান মে দিবসে হোটেল সেক্টরে বেতনসহ সর্বাতœক ছুটির দাবিতে চলমান আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট স্ইুটমিট শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ নং বি-২০৩৭ এর ডাকে দেশব্যাপী মিছিল ও সমাবেশের অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্ট ২৩০৫-এর উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার শহরের চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে মিছিল বের করে শহরের চৌমুহনা, সেন্ট্রাল রোড, কুসুমবাগ এলাকা ঘুরে এস আর প্লাজার সামনে এক সমাবেশ করে। জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ প্রধান, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্তাজ আলী, কোষাধ্যক্ষ তারেশ বিশ্বাস সুমন এবং ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের নেতা ও জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল আহমদ। সমাবেশে বক্তরা বলেন মহান মে দিবস আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণীর ঐক্য ও সংহতি প্রকাশের দিন। মহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণী ছুটি ভোগ করে থাকেন। বাংলাদেশের সর্বস্তরের সরকারীÑবেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা এমন কি ঢাকা, সিলেটসহ দেশের অধিকাংশ জেলার হোটেল শ্রমিকরা ছুটি ভোগ করলেও মৌলভীবাজার শহরের হোটেল শ্রমিকরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছি। আমাদের চাকরীর যেমন নেই নিশ্চয়তা, তেমনই বাচাঁর মত মজুরি ও কাজ শেষে অনেক ক্ষেত্রে মজুরিরও নিশ্চয়তা নেই। বর্তমানে আমরা যে মজুরি পাই তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মাসের ১০ দিন চলাও দায়। শ্রম আইনে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ ও বাসস্থানের বিধান থাকলেও শ্রমিকরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে ও থাকতে বাধ্য হন। গত ২ জুলাই ২০১৫ মৌলভীবাজার হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সাথে শ্রমআইন বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও অদ্যাবধি সেই চুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়নি। হোটেল শ্রমিকরা দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা অমানবিক পরিশ্রম করে অর্ধাহারে-অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হন, যার কারণে হোটেল শ্রমিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। সমাবেশ থেকে সম্প্রতি যশোরের বাবু হোটেলের মহিলা শ্রমিক ছায়েরা খাতুন ছায়াকে পাশবিক নির্য়াতন করে নির্মমভাবে হত্যাকারী মালিক মফিজুর রহমান বাবু এবং ঢাকার ঘরোয়া হোটেলের কিশোর শ্রমিক রিয়াদ হত্যাকারী খুনী হোটেল মালিক আরিফুল ইসলাম সোহেলের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। এছাড়া মহান মে দিবসে স্ববেতনে ছুটি, বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ নি¤œতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা ঘোষণা, সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরির গেজেট কার্যকর, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু, ৮ ঘন্টা কর্ম দিবস, নিয়োগ পত্র, পরিচয় পত্রসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন করার দাবি জানানো হয়।
মন্তব্য করুন