মৌলভীবাজার আইনজীবী সমিতির নির্বাচন, বিদায়ী কমিটির ব্যর্থতা, কমিটির সহ-সম্পাদকের পদত্যাগ, মিশ্র প্রতিক্রিয়া

February 11, 2025,

স্টাফ রিপোর্টার : ১৩ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন। বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে সরাসরি প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন জেলা বারের একাধিক মেয়াদের সাবেক সফল সম্পাদক, ঘরে বাহিরে বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মিজানুর রহমান এবং জেলা বারের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নেতা ও কমলগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী এডভোকেট এ,এস,এম আজাদুর রহমান।

৫ আগষ্টের ছাত্র গনঅভ্যোত্থান, আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ও প্রধান মন্ত্রীর ভারত পলায়নের পর মামলা মাথায় নিয়ে জামিন প্রাপ্ত হয়ে বিব্রত কর অবস্থার মাঝে ও নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন তিনি।

এডভোকেট মিজানুর রহমান বিগত দিনে সভাপতি পদে শক্ত প্রার্থী ছিলেন এবারে দেশীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিরকারনে জনমত তার পক্ষে বলেই প্রতিয়মান হয়। সম্পাদক পদে বিদায়ী কমিটির সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জয়নুল হক এবং অতিরিক্ত জি,পি কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং জাতীয়তা বাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা এডভোকেট মোঃ দিলওয়ার হোসেন এর মধ্যে সরাসরি প্রতিদ্ধন্ধীতায় জনমত এডভোকেট দেলওয়ার হোসেনের পক্ষে পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমান কমিটি বিগত দিনে জেলা বার পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচিয় দিয়েছেন।

বার্ষিক নৈশভোজ এর প্রধান অতিথি বাংলাদেশের মান্যবর এটর্নি জেনারেল এডভোকেট মোঃ আসাদুজ্জামান। তাঁর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বিদায়ী সেক্রেটারী জয়নুল হক এডভোকেট এবং ক্রীড়া সম্পাদক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা হবিগঞ্জের আদি অধিবাসি ইমরান মিয়া লস্কর। কমিটির বিদায়ী সভাপতি এডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসর ও সমর্থক একটি চক্র অনুষ্ঠানকে মানহীন করেছে। জেলা জজ ও জাজশীপের সকল কর্মকর্তাগন, জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং পুলিশ সুপার সাহেবের উপস্থিতিতে মঞ্চে আসীন ছিলেন বার কাউন্সিল ডি-অঞ্চলের নেতা, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির একাধিক মেয়াদের সাবেক সফল সভাপতি, সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নেতা, এ,টি,এম ফয়েজ উদ্দিন-কে অসম্মান করেছেন জেলাবার সেক্রেটারী জয়নুল হক। অনুষ্ঠান পরিচালনায় জাতীয়তা বাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা নেতা, অতিঃ পি,পি ও বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট নজরুল ইসলাম এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট জাহেদুল হক কচিকে অবজ্ঞা-অবহেলা-অপমান করা হয়েছে। অনুষ্ঠান পরিচালনায় তাদেরকে সুযোগ না দিয়ে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নেতা ও সঞ্চালক এমরান মিয়া লস্কর তাদের নামই উচ্চারন করেননি। পরে প্রতিবাদ হিসাবে এডভোকেট নজরুল ইসলাম তার পদে পদত্যাগ করেন। এতে কমিটির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জেলা বারের বার্ষিক নৈশভোজ এর খাবারের মান গুলি ছিল বিগত দিনের তুলনায় নিম্নমানের। বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেল এর উপস্থিতিতে জেলার সকলপদস্থ কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের উপস্থিতে সভাচলাও আহার গ্রহনের সময় বার বার পিডিবির বিদ্যুত যাওয়া ছিল রহস্যজনক। এ ব্যপারে একটি প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত হলে ভালো হয় বলে অনেকে মনে করেন। প্রচলিত প্রথাও রেওয়াজ মোতাবেক কমিটি ছাড়া সিনিওরদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয়া হয়, এবার সেক্রেটারী সে সুযোগ দেননি। এ ব্যাপারে কমিটির পক্ষ থেকে কোন দুঃখ প্রকাশ হয় নি। বিদায়ী কমিটির এই ব্যর্থতার মাঝে আগামী বার্ষীক নির্বচন খুবই গুরুত্বপূর্ন বলে সাধারন আইনজীবী সমাজ মনে করেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com