মৌলভীবাজার-১ আসনে কে পাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন তৃণমুলের পছন্দ মিঠু চ্যালেঞ্জে এবাদুর রহমান চৌধুরী

আব্দুর রব॥ মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনের বিএনপির হেভিওয়েট সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী দলিয় মনোনয়ন প্রাপ্তিতে অনেকটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হয়ে পড়েছেন। এ আসন থেকে তিনি ছাড়াও আরো ১২ জন বিএনপি নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতিমধ্যে তারা দলিয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন ও অনেকে জমা দিয়েছেন। এতে নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির অর্ন্তদ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী, নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু, শরীফুল হক সাজু নাকি অন্য কাকে দিচ্ছে দলিয় মনোনয়ন। দলিয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ সমর্থকদের মধ্যে এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা ও কৌতুহলের শেষ নেই। রোববার থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু করেছে বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যালয়।
বিএনপির সাধারণ সমর্থকরা জানান, অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী জাতীয় পার্টি ও বিএনপির ব্যানারে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এবং পরে চারদলিয় জোট সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেন। বিশেষ করে শিক্ষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে তার অবদান এখনও দল মত নির্বিশেষে মানুষের মূখে মূখে উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এলাকায় তিনি অনেকটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তৃণমুলের নেতাকর্মীরা জানান, গত ৮-৯ বছর ধরে বিনাভোটের সরকার পতন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম করেত গিয়ে অনেকেই হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। নেতৃত্ব দেয়াতো দুরের কথা নেতাকর্মীর সুখে-দুখে কখনও তাকে পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে কাতার বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুল হক সাজু ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু খোঁজ খবর নিয়েছেন। নেতাকর্মীর দুর্দিন ও মামলা মোকদ্দমায় তারা সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও তারা আর্থিক সাহায্য নিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দলিয় কর্মসুচি পালনে পুলিশ ও আওয়ামী ক্যাডারদের হামলায় আহত অনেকের চিকিৎসায় সহায়তা করেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ৮-১০ বছর ধরে এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন কোন নেতাকে কেন্দ্র মনোনয়ন দিলে ধানের শীষের নিশ্চিত ভরাডুবি ঘটবে।
এ প্রসঙ্গে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী জানান, নির্বাচনী এলাকায় তার স্থায়ী কোন চাকরী না থাকায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করেননি। তবে একেবারেই যে এলাকায় যাননি বা নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেননি তা সত্য নয়। সত্তরোর্ধ একজন রাজনীতিক ব্যক্তিতো ইচ্ছা করলেই রান করতে পারেন না। দল ও দেশের প্রয়োজনে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। কে মনোনয়ন পাবেন এ সিদ্ধান্ত দিবে কেন্দ্র। তিনি আশা করেন সব ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান জানান, তিনি সহ অনেকেই দলিয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন। কেন্দ্র যাকে সিলেক্ট করবে তার পক্ষেই আমরা মাঠে কাজ করবো। তবে মাঠের জরিপে জেলা বিএনপির সহসভাপতি কেন্দ্রিয় বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু বেশ আলোচনায় রয়েছেন।
মন্তব্য করুন