শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা
এহসান বিন মুজাহির॥ নারীর জন্য বিনিয়োগ, সহিংসতা প্রতিরোধ’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৩ সোমবার ৪ ডিসেম্বর দুপুরে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি বিজয় হাজরা এবং সঞ্চালনা করেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের লিডার প্রকল্পের সমন্বয়কারী পারভেজ কৈরী।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহেদা আক্তার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পঙ্কজ কন্দ এবং অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের শ্রীমঙ্গল প্রকল্প অফিসের অফিস-ইন-চার্জ ও আলোয়-আলো প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. রুবাইয়াৎ ফেরদৌস বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারী অধিকার বাস্তবায়নে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স শ্রীমঙ্গলসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধের শিক্ষার শুরুটা পরিবার থেকে শুরু হওয়া দরকার। আমরা যদি কৈশোরেই নিজ পরিবার থেকে এ শিক্ষা পাই তবেই নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারী অধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, নারী ও শিশুদেরকে নিয়ে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের প্রকল্পসমূহ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিশেষ করে লিডার, আলোয়-আলো ও সিএসএম প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স শিশু ও নারীদের সুরক্ষা এবং উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি উপস্থিত সকলকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
মৌলভীবাজার জেলার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহেদা আক্তার বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে । তিনি উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে নারী ও কিশোরী সংগঠন তৈরি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদেরকে দক্ষ জনগোষ্ঠীতে রূপান্তরের বিষয়ে জোর দেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত বলেন, বাংলাদেশের চা বাগানের নারী জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখে। এখন চা বাগানের মেয়েরা পিছিয়ে নেই। তারা এখন উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে।
মন্তব্য করুন