শ্রীমঙ্গলে বড়দিন উদযাপন চার্চ গুলোতে উৎসবের আমেজ

December 25, 2018,

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। সোমবার রাত থেকেই যীশুর জন্মোৎসব বড়দিনের উৎসবে মেতেছে শ্রীমঙ্গলের খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীরা।এদিকে বড় দিনে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চার্চ গুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।প্রতি বছরের মতো এবারও শ্রীমঙ্গলের খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীরা জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করবেন এই দিনটি, রঙ্গীন ফুল,বেলুন আলোক সজ্জায় সেজে উঠেছে শ্রীমঙ্গলের চার্চ গুলো। বড়দিন উপলক্ষে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ১১টি খাসিয়া পুন্জি সহ মোট ৫৭টি চার্চে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বর্নিল সাজে সাজানো হয়েছে গির্জা সহ শ্রীমঙ্গল শহরের ক্যাথলিক চার্চ,লাউয়াছড়া পুন্জি প্রেসবিটারিয়ান চার্চ। বড় দিনের বাহারি কেক,ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন,বাইবেল কুইজ প্রতিযোগিতা,ছেলে মেয়েদের খেলাধুলা ও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।শুধু খ্রিষ্ট ধর্মালম্বী মানুষই নয়, নানা সম্প্রদায় ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষও এই উৎসবে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। শ্রীমঙ্গলের খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীরা মুলত ডিসেম্বরের শুরুতেই খ্রিস্টান পরিবারগুলোর মধ্যে শুরু হয়ে যায় বড়দিনের আমেজ। বড়দিনের প্রধান আকর্ষন ক্রিসমাস ট্,িযীশুর জন্ম স্থানের আদলে গোশালো সাজানো,আলোক সজ্জার পাশাপাশি মজাদার কেক তৈরী, প্রিয়জনদের উপহার কেনায় অনেকে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সিলেট প্রেসবিটারিয়ান সিনড এর সহ-সাধারন সম্পাদক মিঃ ফিলা পতমি

বলেন বড়দিন উপলক্ষে আমরা মাস ব্যপি অনেক রকমের আয়োজন করেছি।এসব আয়োজনের মধ্যে পুন্জির প্রতিটি ঘরে ঘরে কীর্তন,বড় দিনের উপাসনা, বড়দিনের তোরন নির্মান ও প্রীতিভোজ,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। আমরা আশা করি প্রশাসন সহ সবার সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আমরা এবারের বড়দিনের উৎসব উদযাপন করতে পারবো। তথ্য মতে প্রায় দুই হাজার বছর আগে বর্তমানের ফিলিস্তিনির বেথেল হেমের এক গোশালায় মাতা মেরীর গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন যীশু খ্রিষ্ট।সেই থেকে প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বের খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীরা মহা সমারোহে পালন করেন যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিন। খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীরা জানান পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা যীশু খিষ্টের জীবনের ব্রত ছিল। তিনি মানুষকে দেখিয়েছিলেন মুক্তি ও কল্যানের পথ। যীশু অনাহার ক্লিষ্ট দুঃখি, নির্যাতিত ও গরীব মানুষের কল্যান বিশ্বময় শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।জীবনাচরন ব্যবহার ও ঐশ্বর্যবান ব্যক্তিত্বের মধ্য দিয়ে মহামতি যীশু সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে অমর হয়ে আছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com