শ্রীমঙ্গলে মাদরাসাতুল কুরআনিল কারীম এর শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার॥ শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের সাগরদিঘী রোড (শান্তিবাগ) এলাকায় অবস্থিত ‘মাদরাসাতুল কুরআনিল কারীম ও এতিমখানার’ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
৪ মার্চ শুত্রুবার রাত সাড়ে ৯টায় মাদরাসার দ্বিতীয় তলায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ মীর এম এ সালাম। মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুফতি আবুল কালাম ইউসুফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদ এর উপদেষ্টা মোঃ মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেম মাওলানা হায়দর আলী এবং সাংবাদিক ও কলাম লেখক প্রিন্সিপাল মুফতি এহসান বিন মুজাহির। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ হাজী শামছুজ্জামান রাজ্জাক, সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম খোকা, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ছুরুক মিয়া, মাদরাসা কমিটির সদস্য হাজী জয়নাল মিয়া, হাজী আব্দুল মতিন, কবির খান, শরিফ আহমদ, হুমায়ুন কবির, মাওলানা আকলিসুর রহমান, নুর আলম, সোহেল আহমদ, আবুল কালাম প্রমুখ। মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুস স্বুহান, মাওলানা তাফাজ্জুল হক, মাওলানা নাজমুদ্দিন, হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা আব্দু রহিম ও মাস্টার মোস্তফিজুর রহমান রাজু। অতিথিবৃন্দের বক্তব্য শেষে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত (মোমতাজ) পাঁচ শিক্ষার্থীসহ মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সকল ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন আব্দুল কাইয়ুম, আহমদ হোসেন আরাবি, জাবের আহমদ উসমানী, ইসমাইল হোসেন এবং শরিফ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সার্বিক ফলাফলএবং পড়ালেখার মানোন্নয়ন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন অতিথিসহ উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং সূধী-শুভাকাঙ্খীরা। অভিভাবকসহ দেশ-বিদেশের সকল শুভাকাঙ্খীর কাছে মাদরাসার উন্নতি ও সফলতা কামনা করেন মাদরাসাতুল কুরআনিল কারীম ও এতিমখানা পরিবার। মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মুফতি আবুল কালাম ইউসুফ বলেন-শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে অভিভাবকরা সন্তুষ প্রকাশ করছেন। আমরা চেষ্টা করছি পড়ালেখার মান আরো বৃদ্ধি করতে। আমাদের মাদরাসার শিক্ষকরাও খুব আন্তরিক। শিক্ষক-অভিভাবকসহ সূধীমহলের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে প্রতিষ্ঠান আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সম্পাদক, কাউন্সিলর মীর এম এ সালাম বলেন-মাদরাসাটি আড়াই বছরে পদার্পণ করেছে, আলহামদুলিল্লাহ, ইতোমধ্যে আমাদের মাদরাসায় দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত। পড়ালেখার মানোন্নয়নের দিক দিয়েও শ্রীমঙ্গলে আমরা এগিয়ে আছি। আমাদের স্থান সংকুলান না হওয়া আমরা আর নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারছি না। আশা করি দেশ-বিদেশের সবার সহযোগিতায় মাদরাসার নিজস্ব জায়গা ক্রয় করে শিক্ষা কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করতে পারবো।
মন্তব্য করুন