মৌলভীবাজারে দাদন ব্যবসায়ী মুকিলের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী

August 12, 2013,

মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলার পেটুগাও গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী মুকিল মেম্বারের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। সাধারন কৃষকদের মাঝে দাদন দিয়ে অসহায়দের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা তার এই অপকর্মে সহয়োগিতা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী ও পুলিশ সদস্যরা বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি দাদন ব্যবসায়ীর হামলায় আহত হয়েছেন ৫ জন। এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের একটি ব্যাংক থেকে ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে ধুলীজুরা গ্রামের আব্দুল কাদির(৫১)তার ছেলের চালিত প্রাইভেট গাড়ির নিয়ে গত ৭ আগস্ট রাজনগর উপজেলার আজাদের বাজারস্থ হক মিয়ার চা-ষ্টলের সামনে আসলে পেটুগাও গ্রামের বিশিষ্ট দাদন ব্যবসায়ী মুকিত ওরফে মুকিল(৫০), রুবেল মিয়া(২৮) ও রাসেল মিয়া(২৭) গাড়িটির গতিরোধ করে। গতিরোধের কারন জিঞ্জাসা করলে মুকিল বলে দাদনের ১০ হাজার টাকায় এক লক্ষ টাকা হয়েছে তার মধ্যে ৩০ হাজার টাকা পেয়েছি বাকি সমুদ্বয় টাকা দিয়ে যেতে। কাদির মিয়া তখন বলেন কিছু দিন পূবেই তোমার নগদ ১০ হাজার টাকাসহ ৩৫ টাকা দিয়ে লেনদেন শেষ করলাম। এখনতো এ বিষয় বলার কথা না বলার সাথে সাথে পার্শবতী হক মিয়ার চা-ষ্টলে নিয়ে এলোপাতারী মারতে শুরু করে দাদন ব্যবসায়ীরা। তখন মুকিল মেম্বার ও তার সহযোগিদের আক্রমনে আহত হয় কাদির মিয়াসহ আরো ৪ জন। এ সময় তাদের পকেটে থাকা ঈদ বাজারের ৬৫ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়। তখন তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে দাদন ব্যবসায়ী পালিয়ে যায় আহত আব্দুল কাদির, জুয়েল মিয়া, বিলাল মিয়া, মশাই মিয়া ও শরিফ মিয়াকে উদ্বার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন। তারা বর্তমানে চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়িতেই রয়েছেন বলে আহতরা জানান। আহত আব্দুল কাদির বলেন, দাদন ব্য্যবসায়ী মুকিল মেম্বারের হাত থেকে সাধারন কৃষক,দিনমজুর ও ব্যবসায়ীসহ সারা উপজেলার অনেকেই দাদনের টাকা পরিশোধ করতে জমি, বাড়ি, গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টান বিক্রি করে আজ স্বর্বশান্ত। তার সহয়োগিতায় স্থানীয় প্রভাবশালী ও বিভিন্ন পুলিশ সদস্যও রয়েছে। দাদন ব্যবসায়ী মুকিল ইতিপূর্বেও র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পে এক লক্ষ টাকা ঘুষ দেয়ার সময় হাতেনাতে আটক হয়ে কারাভোগ করেছে। তার বিরোধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। সে টাকা আদায় করতে নারী ও পুলিশকে ব্যবহার করছে বলে ভোক্তভোগি অনেকেই জানান। প্রয়োজনে নারী নির্যাতন,ধর্ষণসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পুলিশের সহয়োগিতায় স্বর্বস্থ নিয়ে রাস্তায় বসিয়েছে অনেক কেই। তার ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পান না বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রায় ২০ জন অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন, দাদন ব্যবসায়ী মুকিল নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে ব্যাংকের শুধু স্বাক্ষরিত সাদা চেকের পাতা বা সাদা ন›জুডিশিয়াল ষ্ট্যা¤েপ স্বাক্ষর গ্রহন করে টাকা পয়াসা দিয়ে থাকেন। কোনো কারনে কেহ টাকা দিতে বিলম্ব করলে ঐসমস্থ্য চেকে বা ষ্ট্যা¤েপ নিজের ইচ্ছামত টাকার পরিমান বসিয়ে কর্জ হিসেবে গৃহীতা বিস্বাস ভঙ্গ করেছেন মর্মে থানায় বা কোর্টে দাদন ব্যবসায়ী মামলা করে থাকেন। এ সব ব্যাপারে দাদন ব্যাবসায়ীদের সহায়তা করে থাকেন বিশেষ একটি মহল। এ বিষয়ে মুকিল মেম্বারের সাথে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রোববার বিকেলে জানান, এ ঘটনায় আহত কাদির মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে মামলা নাম্বার ১৫। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলার পেটুগাও গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী মুকিল মেম্বারের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। সাধারন কৃষকদের মাঝে দাদন দিয়ে অসহায়দের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা তার এই অপকর্মে সহয়োগিতা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী ও পুলিশ সদস্যরা বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি দাদন ব্যবসায়ীর হামলায় আহত হয়েছেন ৫ জন। এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের একটি ব্যাংক থেকে ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে ধুলীজুরা গ্রামের আব্দুল কাদির(৫১)তার ছেলের চালিত প্রাইভেট গাড়ির নিয়ে গত ৭ আগস্ট রাজনগর উপজেলার আজাদের বাজারস্থ হক মিয়ার চা-ষ্টলের সামনে আসলে পেটুগাও গ্রামের বিশিষ্ট দাদন ব্যবসায়ী মুকিত ওরফে মুকিল(৫০), রুবেল মিয়া(২৮) ও রাসেল মিয়া(২৭) গাড়িটির গতিরোধ করে। গতিরোধের কারন জিঞ্জাসা করলে মুকিল বলে দাদনের ১০ হাজার টাকায় এক লক্ষ টাকা হয়েছে তার মধ্যে ৩০ হাজার টাকা পেয়েছি বাকি সমুদ্বয় টাকা দিয়ে যেতে। কাদির মিয়া তখন বলেন কিছু দিন পূবেই তোমার নগদ ১০ হাজার টাকাসহ ৩৫ টাকা দিয়ে লেনদেন শেষ করলাম। এখনতো এ বিষয় বলার কথা না বলার সাথে সাথে পার্শবতী হক মিয়ার চা-ষ্টলে নিয়ে এলোপাতারী মারতে শুরু করে দাদন ব্যবসায়ীরা। তখন মুকিল মেম্বার ও তার সহযোগিদের আক্রমনে আহত হয় কাদির মিয়াসহ আরো ৪ জন। এ সময় তাদের পকেটে থাকা ঈদ বাজারের ৬৫ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়। তখন তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে দাদন ব্যবসায়ী পালিয়ে যায় আহত আব্দুল কাদির, জুয়েল মিয়া, বিলাল মিয়া, মশাই মিয়া ও শরিফ মিয়াকে উদ্বার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন। তারা বর্তমানে চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়িতেই রয়েছেন বলে আহতরা জানান। আহত আব্দুল কাদির বলেন, দাদন ব্য্যবসায়ী মুকিল মেম্বারের হাত থেকে সাধারন কৃষক,দিনমজুর ও ব্যবসায়ীসহ সারা উপজেলার অনেকেই দাদনের টাকা পরিশোধ করতে জমি, বাড়ি, গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টান বিক্রি করে আজ স্বর্বশান্ত। তার সহয়োগিতায় স্থানীয় প্রভাবশালী ও বিভিন্ন পুলিশ সদস্যও রয়েছে। দাদন ব্যবসায়ী মুকিল ইতিপূর্বেও র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পে এক লক্ষ টাকা ঘুষ দেয়ার সময় হাতেনাতে আটক হয়ে কারাভোগ করেছে। তার বিরোধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। সে টাকা আদায় করতে নারী ও পুলিশকে ব্যবহার করছে বলে ভোক্তভোগি অনেকেই জানান। প্রয়োজনে নারী নির্যাতন,ধর্ষণসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পুলিশের সহয়োগিতায় স্বর্বস্থ নিয়ে রাস্তায় বসিয়েছে অনেক কেই। তার ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পান না বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রায় ২০ জন অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন, দাদন ব্যবসায়ী মুকিল নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে ব্যাংকের শুধু স্বাক্ষরিত সাদা চেকের পাতা বা সাদা ন›জুডিশিয়াল ষ্ট্যা¤েপ স্বাক্ষর গ্রহন করে টাকা পয়াসা দিয়ে থাকেন। কোনো কারনে কেহ টাকা দিতে বিলম্ব করলে ঐসমস্থ্য চেকে বা ষ্ট্যা¤েপ নিজের ইচ্ছামত টাকার পরিমান বসিয়ে কর্জ হিসেবে গৃহীতা বিস্বাস ভঙ্গ করেছেন মর্মে থানায় বা কোর্টে দাদন ব্যবসায়ী মামলা করে থাকেন। এ সব ব্যাপারে দাদন ব্যাবসায়ীদের সহায়তা করে থাকেন বিশেষ একটি মহল। এ বিষয়ে মুকিল মেম্বারের সাথে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রোববার বিকেলে জানান, এ ঘটনায় আহত কাদির মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে মামলা নাম্বার ১৫। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এম শাহজাহান আহমদ॥

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com