মা/রপি/টের মা/মলা প্রত্যাহার না করায় কমলগঞ্জে শিশু ও নারী নি/র্যা/তন: আদালতে মা/মলা

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ : মারপিটের জন্য দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে না নেওয়ায় কমলগঞ্জে এক শিশু ও নারীকে মারপিট করে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ জুন বুধবার বিকালে আলীনগর ইউনিয়নের যোগীবিল গ্রামের রাস্তায়। এঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে মৌলভীবাজার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, যোগীবিল গ্রামের সঞ্জিত কর, অনন্ত কর গংদের সাথে একই গ্রামের দিপালী শব্দকর ও তার স্বামী ইরেশ শব্দকরের বিরোধ চলে আসছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে সঞ্জিত কর, অনন্ত কর প্রথম দফা স্কুল পড়ুয়া শিশু জয়শ্রী রানী কর (৯) ও তার মা দিপালী শব্দকর (৫০) কে মারধোর করে আহত করে। এঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে সি,আর মামলা দায়ের করা হয়। মামলা প্রত্যাহার করে না নেয়ায় গত ২৫ জুন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সঞ্জিত কর এর বাড়ির সামনের রাস্তায় জয়শ্রী রানী করকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করে সঞ্জিত কর। এসময়ে শিশু জয়শ্রীকে রক্ষায় দিপালী শব্দকর এগিয়ে আসলে সঞ্জিত কর, সুজিত কর, অনন্ত কর, হরিমোহন মালাকার, বৃন্দাবন মালাকার যৌথভাবে হামলা করে দিপালী করকে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এঘটনায় দিপালী শব্দকর বাদি হয়ে সঞ্জিত কর (৩০), সুজিত কর ২৫), অনন্ত কর (৪০), হরিমোহন মালাকার(৫০) ও বৃন্দাবন মালাকার (৫৫) কে আসামী করে গত ২৭ জুন মৌলভীবাজার আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা গত ১০ জুলাই মৌলভীবাজার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে দিতে গেলে বিচারক ১ নম্বর আসামী সঞ্জিত করকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন এবং সুজিত কর, অনন্ত কর, হরিমোহন মালাকার ও বৃন্দাবন মালাকারকে জামিন প্রদান করেন।
এ মামলার বাদী দিপালী শব্দকর জানান, আসামীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসে আমাদেরকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছি। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অভিযোগ বিষয়ে অনন্ত কর, হরিমোহন মালাকার ও বৃন্দাবন মালাকারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার এসআই মোহাম্মদ আমির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী জেলহাজতে আছে, বাকীরা জামিনে আছে। জামিনে মুক্ত হয়ে আসামীরা বাদীপক্ষের লোকদের হুমকির বিষয়ে তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন