সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য এবং বিশ্ববরণ্য অর্থনীতিবিদ মরহুম এম সাইফুর রহমানের ৯৪তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে এম.সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ,বাংলাদেশ এর উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ৬ অক্টোবর বাদ জোহর মৌলভীবাজার জেলা (কোর্ট) জামে মসজিদে একর্মসূচি আয়োজন করা হয়। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন জেলা জামে (কোর্ট) মসজিদের ইমাম ও খতিব, মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল ইসলাম। দোয়া মাহফিলে এম.সাইফুর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। এছাড়া দেশ, জাতি ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনসহ মুসলিম উম্মাহের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা হয়।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন এম. সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের আহবায়ক সৈয়দ তৌফিক আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতের পিপি, জেলা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও এম.সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী, এম. সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ মো: বদরুল আলম, বকসী মিসবাহ উর রহমান, এম ইদ্রিস আলী, মু.ইমাদ উদ-দীন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক এস এম উমেদ আলী, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান মজনু, এম. সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট হাফিজ আব্দুল আলীমসহ স্মৃতি পরিষদ, জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ মুসল্লিরা অংশ নেন।
পরে উপস্থিত মুসল্লিদের মাঝে শিরনী বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য ২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এম সাইফুর রহমান মর্মান্তিক সড়ক র্দূঘটনায় নিহত হন। তার শেষ ইচ্চানুযায়ী গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দনে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। ১৯৯৬ সালে ষষ্ট ও সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ আসন ও ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ ও সিলেট-১ আসন থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালের ৮ই জুন তিনি সংসদে দ্বাদশ বাজেট পেশ করে দেশের সংসদীয় ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক বাজেট পেশকারী হিসেবে রের্কড গড়েন। তিনি দীর্ঘদিন দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন ছাড়াও দেশ-বিদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানগুলোতেও নানা গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন কৃতিত্বের সাথে।
মন্তব্য করুন