ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবি
বশির আহমদ : কুষ্টিয়ার সেউরিয়ায় বাউলদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজন হয় নাচ-গানসহ নানা কর্মকাণ্ডের। কিন্তু সেখানে প্রকাশ্যে অসংগতি, অশালীনতা ও নিষিদ্ধ দ্রব্যের ব্যবহার বহু ধর্মাবলম্বীর অনুভূতিতে আঘাত হানে-এ অভিযোগ বহুদিনের।
দেশের ৯০% মুসলমানের করের টাকায় রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। সেই অর্থ দিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধবিরোধী কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষকতা কতটা যৌক্তিক-এ প্রশ্ন আজ সকলের। শুধু আবুল বাউল নয়-যে কোনো ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ, উপহাস বা আঘাতমূলক কর্মকাণ্ড রোধ করা সরকারের দায়িত্ব।
এ ছাড়া বাউল গানের নামে বহু সময় না বুঝে ইসলামের কথা, কুরআন-হাদিসের কথা বলা হয়। বাস্তবে তারা এসব বিষয়ের ধারেকাছেও নেই। ইসলাম সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান ও দক্ষতা ছাড়া ব্যাখ্যা দেওয়া কতটা যৌক্তিক? ভুল ব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের মাধ্যমে সহজ-সরল মানুষকে ভুল পথে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে-যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী যেকোনো দল-গোষ্ঠীকে আইনের আওতায় এনে প্রতিহত করা-এটাই সময়ের দাবি এবং জাতির প্রত্যাশা।
লেখক : বশির আহমদ, অধ্যক্ষ, উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা, মৌলভীবাজার।



মন্তব্য করুন