৯২ চা-বাগানের অর্ধেক রাস্তা এখনও সংস্কার হয়নি : মৌলভীবাজারে চা-শ্রমিকদের ক্ষোভ বাবু এবার আর নৌকায় ভোট দিমু না

November 19, 2013,

মহাজোট সরকারের প্রায় ৫ বছর চলে গেলেও মৌলভীবাজারের চা-বাগান এলাকার রাস্তাগুলোর তেমন কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। বিএনপির শাসনামলের শেষের দিকে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের কল্যাণে চা-বাগানগুলোর রাস্তার উন্নয়ন হলেও বর্তমানে এসব রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জেলার ৯২টি চা-বাগানের ৪৮টি রাস্তাঘাটে কোনো ধরনের সংস্কারকাজ না হওয়ায় চা অঞ্চলখ্যাত এ জেলার রফতানিনির্ভর অর্থনীতি অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে। তাই অবহেলিত এসব বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভেরও শেষ নেই। চা-শ্রমিকরা কাজের ফাঁকে ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, তারা স্বাধীনতার পর থেকেই নৌকা প্রতীকে ভোট দেন। তাদের আশা ছিল চারদলীয় জোটের চেয়ে মহাজোট সরকার চা-বাগানের রাস্তাসহ বাগান এলাকার উন্নয়নকাজে বেশি মনোযোগী হবে। কিন্তু হয়েছে বিপরীত। চা-শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা, চা-শ্রমিকদের মূল অংশকে বাদ দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা থেকে শুরম্ন করে চা-শ্রমিকরা বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে সবকিছু থেকেই হয়েছেন বঞ্চিত। চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সিনিয়র এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চা-বাগান ও চা-শ্রমিকদের যেভাবে অবহেলা করেছে বর্তমান সরকার, সে কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের ৯২টি চা-বাগানে চা-শ্রমিকরা নৌকায় ভোট না দেওয়ার সিদ্বান্ত নেবেন তারা। বাংলাদেশ চা-বোর্ড প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট সূত্র জানায়, ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চা-বাগান কানেক্টিং রোড প্রকল্পের (বাগানে রোড কমিটি বলে পরিচিত) অধীনে মৌলভীবাজার সদর থানা, রাজনগর, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার ৯২টি বাগানে সড়কের সংস্কারকাজ শুরম্ন হয়। এই পাঁচ বছরের উন্নয়নকাজ অসমাপ্ত রেখে হঠাৎ করে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০৭ সালের শুরুর প্রথম দিকে কাজ আবারও বন্ধ হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসায় তা পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এলে আবারও কাজ শুরম্ন হয়। কিন্তু টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পাওয়া বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি দপ্তরের টানাপোড়েন, প্রশাসনিক জটিলতা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্লিপ্ততাসহ নানা কারণে সড়ক নির্মাণকাজে বাধা পড়ে। ফলে বিচ্ছিন্নভাবে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ বাগান এলাকার সড়কের নির্মাণের কাজের দায়িত্ব নিলেও পুরোপুরি বাসত্দবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় জেলার ৯২টি চা-বাগানের ৪৮টি বাগানের যোগাযোগ সড়কের সংস্কার হয়নি। এর ফলে বাগান-অধ্যুষিত এলাকার প্রায় তিন লাখ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
মহাজোট সরকারের প্রায় ৫ বছর চলে গেলেও মৌলভীবাজারের চা-বাগান এলাকার রাস্তাগুলোর তেমন কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। বিএনপির শাসনামলের শেষের দিকে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের কল্যাণে চা-বাগানগুলোর রাস্তার উন্নয়ন হলেও বর্তমানে এসব রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জেলার ৯২টি চা-বাগানের ৪৮টি রাস্তাঘাটে কোনো ধরনের সংস্কারকাজ না হওয়ায় চা অঞ্চলখ্যাত এ জেলার রফতানিনির্ভর অর্থনীতি অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে। তাই অবহেলিত এসব বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভেরও শেষ নেই। চা-শ্রমিকরা কাজের ফাঁকে ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, তারা স্বাধীনতার পর থেকেই নৌকা প্রতীকে ভোট দেন। তাদের আশা ছিল চারদলীয় জোটের চেয়ে মহাজোট সরকার চা-বাগানের রাস্তাসহ বাগান এলাকার উন্নয়নকাজে বেশি মনোযোগী হবে। কিন্তু হয়েছে বিপরীত। চা-শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা, চা-শ্রমিকদের মূল অংশকে বাদ দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা থেকে শুরম্ন করে চা-শ্রমিকরা বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে সবকিছু থেকেই হয়েছেন বঞ্চিত। চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সিনিয়র এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চা-বাগান ও চা-শ্রমিকদের যেভাবে অবহেলা করেছে বর্তমান সরকার, সে কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের ৯২টি চা-বাগানে চা-শ্রমিকরা নৌকায় ভোট না দেওয়ার সিদ্বান্ত নেবেন তারা। বাংলাদেশ চা-বোর্ড প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট সূত্র জানায়, ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চা-বাগান কানেক্টিং রোড প্রকল্পের (বাগানে রোড কমিটি বলে পরিচিত) অধীনে মৌলভীবাজার সদর থানা, রাজনগর, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার ৯২টি বাগানে সড়কের সংস্কারকাজ শুরম্ন হয়। এই পাঁচ বছরের উন্নয়নকাজ অসমাপ্ত রেখে হঠাৎ করে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০৭ সালের শুরুর প্রথম দিকে কাজ আবারও বন্ধ হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসায় তা পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এলে আবারও কাজ শুরম্ন হয়। কিন্তু টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পাওয়া বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি দপ্তরের টানাপোড়েন, প্রশাসনিক জটিলতা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্লিপ্ততাসহ নানা কারণে সড়ক নির্মাণকাজে বাধা পড়ে। ফলে বিচ্ছিন্নভাবে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ বাগান এলাকার সড়কের নির্মাণের কাজের দায়িত্ব নিলেও পুরোপুরি বাসত্দবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় জেলার ৯২টি চা-বাগানের ৪৮টি বাগানের যোগাযোগ সড়কের সংস্কার হয়নি। এর ফলে বাগান-অধ্যুষিত এলাকার প্রায় তিন লাখ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। স্টাফ রিপোর্টার॥

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com