অনৈতিক অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত সুপারকে অপসারণের চেষ্টা বড়লেখায় মাদ্রাসা হলে শিক্ষার্থীর তালা পরীক্ষা স্থগিত : জটিলতা নিরসনে সভা

May 14, 2017,

বড়লেখা  প্রতিনিধি॥ বড়লেখার ফকিরবাজার দাখিল মাদ্রাসার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালিন বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের অপসারণের দাবীতে কতিপয় শিক্ষার্থী পরীক্ষা হলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশংকায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করেন। সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ১৩ মে শনিবার দুপুরে মাদ্রাসা হলরুমে সাধারণ সভার আয়োজন করে। সভায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন ও রোববার থেকে মাদ্রাসা খোলে অসমাপ্ত পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জটিলতা নিরসনের উক্ত সাধারণ সভায় স্থানীয় বর্নি ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন, নারীশিক্ষা একাডেমির উপাধ্যক্ষ একেএম হেলাল উদ্দিন, এম. মুন্তাজিম আলী কলেজের অধ্যক্ষ আসুক উদ্দিন, ফকিরবাজার উচ্চ বিদ্যালেয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক উদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষার্থী ভারপ্রাপ্ত সুপার ইব্রাহিম আলীর অপসারণের দাবীতে পরীক্ষার হলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পরিচালনা কমিটি চলমান অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করেন। ফলে ২০০ ছাত্রছাত্রীর বিভিন্ন বিষয়ের বৃহস্পতিবার ও শনিবারের পুর্বনির্ধারিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এর আগে ভারপ্রাপ্ত সুপারের অপসারণ চেয়ে ৪০-৪৫ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অভিযোগ সভাপতি বরাবরে প্রদান করা হলে কিছু অভিভাবক পাল্টা অভিযোগ করেন ৪-৫ জন শিক্ষার্থী অভিযোগের ব্যাপারে কিছু না জানিয়েই ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে জোরপুর্বক ঢালাওভাবে ছাত্রছাত্রীর স্বাক্ষর আদায় করেছে। সাধারণ সভায় উপস্থিত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুর রহিম জানান, স্বার্থান্বেষী একটি মহল ৪-৫ জন শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করে মিথ্যা ও অনৈতিক অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত সুপার ইব্রাহিম আলীকে অপসারণের তৎপরতা চালাচ্ছে।
পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামিম আহমদ জানান, ভারপ্রাপ্ত সুপারের অপসারণের দাবীতে কিছু ছাত্র লিখিত অভিযোগ দিয়ে পরীক্ষা হলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে শনিবার সাধারণ সভা ডাকা হয়। রোববার থেকে মাদ্রাসা খোলার ও অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সুপার ইব্রাহিম আলী জানান, কিছু ব্যক্তি স্বচ্ছতার মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটিতে আসতে পারছে না। আমার কারণে প্রক্রিয়াধীণ সুপার নিয়োগ নিয়েও তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এজন্য শেষ অস্ত্র হিসেবে আমার বিরুদ্ধে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যা শনিবারের সাধারণ সভায় স্পষ্ট হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com