ঈদুল আযহা উপলক্ষে আতপ চাল ভাঙ্গাতে কমলগঞ্জে ব্যস্ত চালের মিল

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ দেশে শীত মৌসুমে নানা জাতের পিঠা পুলির আয়োজন হয়ে থাকে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে। এজন্য আটা ময়দার সাথে থাকে চালের গুড়া দিয়ে পিঠা তৈরীর কাজ।
তবে কুরবানির ঈদের সময় বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে আতপ চালের গুড়া দিয়ে রুটি তৈরী করে কুরবানির মাংস দিয়ে খাওয়ার একটি প্রচলন রয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর কুরবানির ঈদের আগে চালের মিলগুলি ব্যস্ত থাকের চাল ভাঙ্গাতে।
আসন্ন কুরবানির ঈদেক সামনে রেখে কমলগঞ্জের চালের মিলগুলি ব্যস্ত সময় পার করছেন চাল ভাঙ্গার কাজে।
মঙ্গলবার কমলগঞ্জের শমশেরনগর বাজারের মশিউর রহমানের চালের মিল ঘুরে দেখা যায় নিজ নিজ ব্যাগে চাল ভরে সারিবদ্ধভাবে রেখে গেছেন মানুষজন।
মিল মালিক মশিউর রহমান জানান, সারা বছর মিলে হলুদ, মরিচ, গম ও চাল ভাঙ্গিয়ে থাকেন। তবে কুরবানির ঈদের আগে ব্যস্ত থাকতে হয় আতপ চাল ভাঙ্গার কাজে।
গড়ে প্রতিদিন ৩০০ কেজি পরিমাণ চাল ভাঙ্গাতে হচ্ছে। প্রতি কেজি ১০ টাকা হারে তিনি ভাঙ্গিয়ে থাকেন। মানুষজন ঈদের সময় বাসা বাড়িতে চালের গুড়ার নানা জাতের পিঠার সাথে গুড়া দিয়ে রুটি তৈরী করেন।
কুরবানির মাংস দিয়ে রুটি খেতে আলাদা স্বাদ বলেও মিল মালিক মশিউর জানান। ঈদের ৩ থেকে ৪ দিন আগ থেকে অনেক সময় রাত জেগে মিলে কাজ করতে হয়।
চাল নিয়ে এসে মানুষজন ওজন দিয়ে নিজের ব্যাগে কাগজে নাম লিখে রেখে যান। চাল গুড়া করে আবার তিনি সারিবদ্ধভাবে রেখে দেন। পরে মানুষজন এসে নিজ নিজ ব্যাগ নিয়ে যায়। মিল মালিক আরও জানান কুরবানির ঈদের সময় অনেকেই আবার নিজে শুকনো মরিচ, হলুদ ও ধনে গুড়া করে নিয়ে যান।
শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজের প্রভাষক শাহাজান মানিক বলেন, কুরবানির ঈদের পর কুরবানির মাংস দিয়ে চালের গুড়ার রুটি খাওয়ার প্রচলন অনকে পূর্ব থেকে। এর স্বাদও আলাদা।
বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে এর প্রচলন রয়েছে। মোটামোটি সব মুসলিম পরিবারই চালের গুড়া দিয়ে রুটি করেন। আর তখন বন্ধু বান্ধবদেরও দাওয়াত দেওয়া হয় কুরবানির মাংস ও চালের রুটি খাওয়ার জন্য।
মন্তব্য করুন