ঈদের আগে ৩৬ ভূমিহীন পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার

June 26, 2023,

এম মছব্বির আলী/মাহফুজ শাকিল॥ মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ৪র্থ পর্যায়ের নির্ধারিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দৃষ্টিনন্দন নতুন পাকা ঘর ৩৬ জন

ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আযহার আগে নতুন ঘরের কবুলিওয়ত হাতে পেয়ে উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৬ জুন সোমবার বিকেলে উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া এলাকায় উপকারভোগীদের মধ্যে গৃহ হস্তান্তর করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শিমুল আলী, কুলাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এম. মছব্বির আলী, ডেইলী স্টারের সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারা, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কুলাউড়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল হাসান সিপন, কুলাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ ইব্রাহিম আলী প্রমুখ।

আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় কুলাউড়ায় ১ম ও ২য়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা হয় মোট ৪১৯টি ঘর।

গৃহহীনদের জন্য যা স্বপ্নের বাড়ি। চারপাশে ইটের দেয়াল এবং ছাদে লাল, সবুজ ও নীল রঙের টিনের ছাউনি। ভূমিহীনরা কখনো স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে তারা জীবনের একটা পর্যায়ে এসে এখন একটি পরিপূর্ণ নতুন ঘর পাবে।

দীর্ঘদিন তারা অন্যের বাড়িতে দুঃখে কষ্টে আশ্রিত ছিলো। এখন তারা প্রত্যেকে উঠেছেন নিজেদের স্বপ্নের নীড়ে। দুই রুমবিশিষ্ট ঘরে রয়েছে একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও স্টোর রুম।

কেউ কেউ শোভাবর্ধনের জন্য ঘরের আঙ্গিনায় লাগিয়েছেন ফুল ও ফলের গাছ। ঘর ঘেঁষে তৈরি করছেন আলাদা আরও প্রয়োজনীয় গুদাম ঘর। এতোদিন সবাই গৃহহীন হয়ে অন্যের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিনাতিপাত করে আশ্রিত ছিলেন।

এখন তারা প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বেজায় খুশি। তাদের চোখে মুখে যেন হাসির ঝিলিক। মুজিববর্ষে তাদের সকলের ভাগ্যে বদল হয়েছে।

স্বপ্নের নতুন ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপকারভোগীরা বলেন, শেখের বেটি (শেখ হাসিনা) কারণে আমরা নতুন ঘর পাচ্ছি। কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি একটি পাকা ঘর পাবো।

কিন্তু শেখের বেটির কারণে আমাদের সেই কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন মরার আগে কিছুদিন শান্তিতে বাঁচতে পারবো। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন।

আমরা এখন আর কারো অবহেলার পাত্র নায়, আমরা এখন নিজেদের ঘরে খুবই সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি। প্রশাসন আমাদের সবসময় খোঁজখবর রাখছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ পর্যায়ের নির্ধারিত উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের উত্তর কৌলা (ঢুলিপাড়া) এলাকায় ৩৬টি, ফরিদপুর এলাকায় ২৬টি, হাজীপুরের পীরের বাজারে ৫টি, শরীফপুরের কালারায়ের চর এলাকায় ১৬টি ও কর্মধা ইউনিয়নের

দক্ষিণ টাট্টিউলীতে ১৩টিসহ মোট ৯৬টি ঘরের মধ্যে কাদিপুরের ৬২টি ঘরের জমি কিনে তৈরী করা হয়েছে।

অবশিষ্ট ঘরগুলো সরকারের খাস জমিতে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শত টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানান তিনি। ১ম পর্যায়ে ১১০টি, ২য় পর্যায়ে ১০০টি, ৩য় পর্যায়ে ১১৩টি ও ৪র্থ পর্যায়ে ৯৬টি ঘর বরাদ্দ করা হয়।

তন্মধ্যে ৪র্থ পর্যায়ের ৩৬টি ঘর হস্তান্তরের পর বাকি ঘরগুলো হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে যেসকল ঘরে ভূমিহীনরা উঠেছেন তাদের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com